মুন্সীগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা, বিএনপির ৯ নেতা-কর্মী কারাগারে

মুন্সীগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলার মামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনসহ ৯ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে আসামিরা মুন্সীগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালতের বিচারক আমজাদ হোসেন তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর ফেরিঘাট এলাকায় মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মুক্তারপুর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে ১৫ জন পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক বিএনপি নেত-কার্মী আহত হন। পরে আহত যুবদল কর্মী শাওন নিহত হন।
এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় দুটি পৃথক মামলা করা হয়। সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাইনউদ্দিন বাদী হয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর ৩১৩ জনের নাম উল্লেখসহ ৭০০-৮০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনকে প্রধান আসামি করা হয়। মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন কামরুজ্জামান রতন। ছয় সপ্তাহের জামিন শেষে বুধবার কামরুজ্জামান রতনসহ নেতা-কর্মীরা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় আদালত জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনসহ ৯ জনের জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ।
আদালতের সেরেস্তাদার মো. সাইদুর রহমান বলেন, এই আসামিরা উচ্চ আদালতের ছয় সপ্তাহের জামিন শেষে আজ আদালতে আত্মসমার্পণ করেন। পরে আদালত ৯ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে আসামিপক্ষের আইনজীবী জাকারিয়া মোল্লা বলেন, পুলিশের ওপর হামলার মামলায় আজ ৯০ জনের মতো আসামি উচ্চ আদালতের জামিন শেষে আত্মসমার্পণ করেন। ৮ জনের উচ্চ আদালতের জামিনের কাগজের সঙ্গে আটজনের জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম-ঠিকানা মিল না থাকায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়াও মামলার মূল আসামি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, এই মামলার আসামিদের মধ্যে আরও অনেক আসামি উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে আছেন, অনেকে জামিনে নেই।
ব.ম শামীম/আরএআর