সাপে কামড়ানো স্কুলছাত্রকে ২ দিন ধরে ঝাড়ফুঁক, ঝরল প্রাণ
সাপের কামড়ে আহত হন চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার স্কুলছাত্র কারিমুল ইসলাম (১৬)। তাকে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে না নিয়ে দুদিন ধরে বাড়িতেই ঝাড়ফুঁক করেন দাদা আব্দুল কাদের। অবস্থার অবনতি হলে বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কারিমুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
সে দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃঞ্চপুর মদনা ইউনিয়নের বারাদি গ্রামের কামারপাড়ার তরিকুল ইসলামের ছেলে। সে একই গ্রামের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
মৃত স্কুলছাত্রের মা কুলছুম বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, কারিমুল সোমবার দুপুরে মাঠে খেলাধুলা করছিল। এ সময় বিষধর সাপে তার পায়ে কামড় দেয়। আমরা গরীব মানুষ তাই সাথে সাথে হাসপাতালে নিতে পারিনি। পরে আমার চাচা শ্বশুর আব্দুল কাদের ছেলেকে সুস্থ করে দেবে বলে দু’দিন ধরে বাড়িতেই ঝাড়ফুক করেন। ছেলের পায়ে ক্ষতস্থানে ব্লেড দিয়ে কেটে বিষ বের করার চেষ্টা করেন তিনি।
আজ সকালে ছেলের শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে শ্বশুর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। আমরা সেখান থেকে আরেক কবিরাজের (ওঝা) কাছে নেই। তিনিও সদর হাসপাতালে নিতে বলেন। বেলা আড়াইটার দিকে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে ডাক্তার ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাদিয়া মা আরিজ বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কারিমুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) এ এস আ ম আমানুল্লাহ আমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাপের কামড়ে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে জেনেছি। মূলত সচেতনার অভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার দিনই যদি হাসপাতালে নিয়ে যেত, হয়তো বাঁচার সম্ভাবনা ছিল। নিহতের পরিবার অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আফজালুল হক/আরকে
