তুলায় সচ্ছলতার মুখ দেখছেন পাহাড়ের চাষিরা

বান্দরবানে এক সময় তামাকের ব্যাপক চাষ হলেও সেই চিত্র পাল্টাচ্ছে। এখন চাষিরা তুলা চাষে ঝুঁকছেন। তুলাচাষ করে পাহাড়ের অনেক পরিবার সচ্ছলতার মুখ দেখছেন।
জানা গেছে, এক সময় বান্দরবানের বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশে ব্যাপকভাবে তামাকের চাষ হতো। ফলে তামাকের জনপদ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে এই জেলা। তবে দিন বদলে গেছে। জেলার সাতটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তামাকের জায়গা দখল করে নিচ্ছে তুলা। মেঘলা, চিম্বুক, চড়ুইপাড়া, লেমুঝিড়ি, বালাঘাটা, জয়মোহন পাড়ায় এখন তুলাচাষের ধুম চলছে। আর্থিকভাবে লাভবানও হচ্ছেন চাষিরা।
বান্দরবানের লেমুঝিড়ির বাসিন্দা মং নু চিং বলেন, আমরা আগে তামাক চাষ করতাম। এখন তুলা চাষ করি। তুলা অফিস থেকে আমাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। এমনকি অফিস থেকে আমাদের সার দেওয়া হয়।
বান্দরবানের চিম্বুকের বাসিন্দা উমেচিং মারমা বলেন, তুলা চাষ করে লাভবান হচ্ছি। তুলা অফিস থেকে আমাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। তুলা চাষ করে আমাদের পরিবারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে।
তুলা চাষি হ্ণাচিং বলেন, আমরা তামাক ছেড়ে তুলা চাষ করছি। এই বছর হাজার হাজার টন তুলা বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি।
তুলা উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে বান্দরবানে ৬ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমিতে তুলার আবাদ হয়েছে। এতে ২ হাজার ১৫০ টন তুলা উৎপাদন হবে।
তুলা চাষিদের আমরা বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। তুলা উন্নয়ন বোর্ড থেকে ফ্রি সার, কীটনাশক ও বীজ দেওয়া হয়।
শফিকুল ইসলাম, ইউনিট বন্টন অফিসার, বান্দরবান তুলা উন্নয়ন বোর্ড
বান্দরবান তুলা উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন মৃধা বলেন, কখন বীজ লাগাতে হবে, কখন কীটনাশক দিতে হবে এ সকল বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে চাষিদের ১৪ ধরনের উপকরণ বিতরণ করা হয়। তুলা চাষ বাড়াতে চাষিদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি উন্নত জাতের বীজ এবং সার দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। দেওয়া হচ্ছে আর্থিক সহায়তাও।
এসপি