মানিকগঞ্জে ১২ দিনে বিএনপির ৩৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার

মানিকগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণ ও নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে গত ১২ দিনে জেলায় বিএনপির অন্তত ৩৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ বানচাল ও নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতে সরকার পুলিশ ব্যবহার করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেন জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা।
তবে পুলিশ বলছে, ১০ ডিসেম্বর নয়, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
নতুন করে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীরা হলেন, সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী মো. রেজা মিয়া ও দিঘুলিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. হুমায়ুন কবির। এ ছাড়া সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী মো. রজ্জব আলী।
গত ২৯ নভেম্বর রাতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে ২৮ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস।
জানা গেছে, মানিকগঞ্জের সাতটি থানায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা হয়েছে। গত ২৬ নভেম্বর থেকে গত ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব মামলা করে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা। এসব মামলা ১৪৪ জন বিএনপির নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবির জানান, গণসমাবেশের ভয়ে আওয়ামী লীগ সরকার অস্থির হয়ে পড়েছে। পুলিশকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে আওয়ামী লীগ সরকার, তারা গণতান্ত্রিক রাজনীতি বিশ্বাস করে না। পুলিশের সহায়তায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে কাল্পনিক-গায়েবী মামলা দিয়ে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান জানান, যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় বিস্ফোরণ ও নাশকতার ঘটনায় মামলা রয়েছে। সামনে বিজয় দিবস, থার্টি ফাস্ট নাইট ও জঙ্গি-বিরোধী তৎপরতা চালাতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ এবং এই অভিযান মাসব্যাপী চলবে। তবে ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি সঠিক নয়।
সোহেল হোসেন/এসকেডি