মাদারীপুরে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে কৃষককে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ

মাদারীপুরের সদর উপজেলায় আক্কাস হাওলাদার (৪৪) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য জিয়াউল হাওলাদার (৩৫) ও তার কর্মীদের বিরুদ্ধে। এসময় তার সঙ্গে থাকা স্ত্রী ময়না বেগম (২৯) ও শিশু সন্তান রোমান হাওলাদারকেও (৩) পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের জয়ার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত কৃষক আক্কাস হাওলাদার মস্তফাপুর ইউনিয়নের বড় খাল পাড় এলাকার লতিফ হাওলাদারের ছেলে। আর অভিযুক্ত জিয়াউল হাওলাদার মস্তফাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগীর পরিবারের বরাতে পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ১০ অক্টোবর কৃষক আক্কাস হাওলাদারের ৩টি গরু চুরি হয়। এ নিয়ে আক্কাস হাওলাদার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কৃষক আক্কাস হাওলাদারের সঙ্গে মস্তফাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিয়াউল হাওলাদারের বিরোধ সৃষ্টি হয়। আজ সন্ধ্যায় আক্কাস হাওলাদার তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে মাদারীপুর শহরের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় জিয়াউল হাওলাদার ও তার কর্মী কুদ্দুস হাওলাদার (৫০), শাহীন হাওলাদার (৩৫), আবু তালেব হাওলাদার (৪৫) ও আকাশ হাওলাদার। এতে গুরুতর আহত হয় কৃষক আক্কাস হাওলাদার, তার স্ত্রী ও শিশু সন্তান। পরে তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসে। পরে তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আক্কাস হাওলাদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার গরু চুরি হওয়া নিয়ে জিয়াউল মেম্বার আমার সঙ্গে মাঝে মাঝে ঝগড়া করতে আসেন। আজ সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে তিনি ও তার লোকজন রামদা, কুড়াল, হাতুড়ি দিয়ে আমার ওপর হামলা করে। আমি প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার চাই।
তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জিয়াউর হাওলাদার বলেন, আক্কাস হাওলাদারের সঙ্গে আমার কোনো দ্বন্দ্ব নেই। আমার লোকজন তাকে কেন মারধর করবে।
এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাকিব হাসান/এমজেইউ