হাইকোর্টের আদেশে পদ ফিরে পেলেন চেয়ারম্যান

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল দুর্নীতির অভিযোগে হারানো পদ ফিরে পেয়েছেন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, পদ ফিরে পেতে আদালতে রিপিটিশন করেন আব্দুল মালেক মন্ডল। পরে আদালত ২৭ নভেম্বর দিনাজপুর জেলা প্রশাসককে মালেক মন্ডলের ইউপি চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকার আদেশ দেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মালেক মন্ডলকে স্বপদে বহালের আদেশ জারি করেন।
এর আগে চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডলের বিরুদ্ধে সরকারি চাল আত্মসাত, অনৈতিকভাবে উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এর আগে ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৯ জন সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার বরাবর অনাস্থা প্রস্তাব করেন। এছাড়া একই সময় চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে সাবেক দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ওই ইউনিয়নের জনগণ উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্বারকলিপি প্রদান করেন। ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয় এবং বিশেষ সভায় অনাস্থা প্রস্তাবটি দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ভোটে গৃহীত হয়। অনাস্থা প্রস্তাবটি অনুমোদিত হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মালেক মিয়ার পদটি আইনের ৩৫ (১)(চ) ধারা অনুযায়ী শূন্য ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
দিওড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল মুঠোফোনে বলেন, কিছু কুচক্র মহল আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছিল। আমি কোনো অন্যায় করিনি। তাই হাইকোর্টে রিট করেছিলাম। আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি।
বিরামপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিধি মোতাবেক দিওড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য ঘোষণা করেছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। আদালতের রায়ে তিনি আবারো স্বপদ ফিরে পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হন।
ইমরান আলী সোহাগ/এসপি