গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ৩ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

Dhaka Post Desk

জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা

০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:১৪ পিএম


গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ৩ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে তিন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ১৬ হাজার ২০১ দশমিক ৫০ বা ১৬ হাজার ২০২ ভোটের কম পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 

জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মো. মাহবুবুর রহমান ও নাহিদুজ্জামান নিশাদ এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।

এই আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪টি। এর মধ্যে গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৬১২টি। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মো. মাহবুবুর রহমান পেয়েছেন ২ হাজার ৯৫০ ভোট ও নাহিদুজ্জামান নিশাদ পেয়েছেন ১ হাজার ৬৪০ ভোট এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ১ হাজার ৭৯৬ ভোট। ফলে আইন অনুযায়ী তিন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। এর মধ্যে ভোটের আগেই সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন নাহিদুজ্জামান নিশাদ।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঢাকা বিভাগের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুম থেকে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান ৭৮ হাজার ২৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু পান ৪৪ হাজার ৯৫০ ভোট। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল মোত্তালিব ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। কেননা নিয়ম অনুযায়ী মোট বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হয়। যা তারা পাননি। 

তিনি আরও বলেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর কোনো প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেও প্রার্থীর জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হয়।

রিপন আকন্দ/আরএআর

Link copied