‘প্রচুর ঠান্ডা, তারপরও জীবিকার তাগিদে বাহির হইছি’

Dhaka Post Desk

জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম 

০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:৫৭ এএম


‘প্রচুর ঠান্ডা, তারপরও জীবিকার তাগিদে বাহির হইছি’

কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে মৃদ শৈত্যপ্রবাহ  বইতে শুরু করেছে। রোববার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। 

কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে কনকনে ঠান্ডার মাত্রা। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। রেহাই পাচ্ছে না পশু-পাখিরাও। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীতে কষ্টে ভুগছে নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। 

জীবন-জীবিকার তাগিদে কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই কাজে বের হতে হচ্ছে শ্রমজীবীদের। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় বিপাকে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চলের মানুষ। 

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর এলাকার এনামুল হক বলেন, কনকনে ঠান্ডায় বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। তারপরও বের হলাম। কাজ না করলে সংসার চলবে না। শীতবস্ত্র নেই। খুব কষ্টে আছি।

আরও পড়ুন >>> শীতে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয় 

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের গারুহাড়া গ্রামের কৃষ্ণ নামে এক জেলে বলেন, আজ প্রচুর ঠান্ডা পড়ছে তারপরও জীবিকার তাগিদে বাহির হইছি। যতই ঠান্ডা হোক না কেন আমাদের বাহির হতে হয়। বাহির না হলে যে সংসার চলবে না।

dhakapost

আরও পড়ুন >>> শীতে যেসব রোগের তীব্রতা বাড়ে

এদিকে গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত নানা রোগ। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু। কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট বেডের বিপরীতে দ্বিগুণেরও বেশি রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। বহির্বিভাগেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহিনুর রহমান শিপন বলেন, হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি। তারপরও সাধ্যমত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক তুহিন মিয়া জানান, রোববার সকাল ৬টায় কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

জুয়েল রানা/আরএআর

Link copied