যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

হার মেনে যাচ্ছে শীতের পোশাক, আগুনের তাপেই যেন স্বস্তি 

Dhaka Post Desk

জেলা প্রতিনিধি, যশোর 

০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৪৯ এএম


হার মেনে যাচ্ছে শীতের পোশাক, আগুনের তাপেই যেন স্বস্তি 

হাড় কাঁপানো শীতে হার মেনে যাচ্ছে শীতের পোশাক। একটু গরম তাপের পরশ পেতে আগুনই যেন শেষ ভরসা। রোববার (৮ জানুয়ারি) সকালে যশোর শহরের মনিহার এলাকায় সড়কের পাশে টায়ার, কাগজ, কাঠ জ্বালিয়ে দলবেঁধে ৮-১০ জনকে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। গত চার দিনের তীব্র শীতে নাজেহাল হয়ে পড়েছে এ জেলার জনজীবন।

যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের সার্জেন্ট আশা ঢাকা পোস্টকে জানান, রোববার যশোরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। থেকে থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে বলেও জানান তিনি।

মনিহার মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে আগুনের তাপ নিচ্ছিলেন পরিবহন শ্রমিক আল-মামুন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত চার দিন ধরে একই রকম ঠান্ডা। মাঝখানে একদিন দুপুরে সূর্যের দেখা মিললেও  ওই দিনও যশোরের তাপমাত্রা সবচেয়ে কম ছিল। এমন শীতে গাড়ি চালানো কষ্টসাধ্য। হাত অবস হয়ে আসলে গাড়ির হুইলও ঘোরানো যায় না। 

নীলগঞ্জ এলাকার রিকশাচালক আরাফাত হোসেন বলেন, গত চার দিনে যা আয় হয়েছে তাতে রিকশার ভাড়াও ওঠেনি। এমন ঠান্ডায় রিকশায় কোনো যাত্রী উঠতে চায় না, বাতাস লাগে তাই। আমরা যারা রিকশাচালক তারা অনেকেই শীতের মধ্যে রিকশা চালিয়ে ঠান্ডা-জ্বরে ভুগছি। 

শহরতলীর খয়েরতলা এলাকার কৃষক আলতাফ বলেন, পরশু দিন রোদ দেখে ভেবেছিলাম আবহাওয়া কেটে গেছে, জমিতে চাষ দেওয়া যাবে। কিন্তু তাও হলো না। আবহাওয়া যা তাই রয়েছে। আর এমন শীতে কোনো শ্রমিক জমিতে কাদামাটিতে কাজ করতে চায় না। 

dhakapost

সকাল থেকে শহরে সীমিত লোকের চলাচল লক্ষ্য করা গেছে। শিশু ও বয়স্কদের নিয়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়ছে জনজীবন।

এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাচি-কাশিসহ কোল্ড ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। শীতকালীন রোগবালাই থেকে রক্ষা পেতে গরম পানি পান করাসহ গরম কাপড় ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা আবদুস সামাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্তর সংখ্যা বাড়ছে। শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। রোগীর চাপ থাকলেও হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

এ্যান্টনি দাস অপু/আরএআর

Link copied