দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না : গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বর্তমান সরকার আবারও নিজেদের মতো করে নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া আর কোনো নির্বাচন হবে না।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে রাজশাহীতে ‘বিএনপির ১০ দফা দাবি এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ র্শীষক ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণমূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই সরকার ব্যাংক-ব্যবসা ধ্বংস করে ফেলেছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে প্রতিটি পণ্য জনসাধারণের নাগালের বাহিরে নিয়ে গেছে। এখন মানুষ অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছে। অথচ সরকার মেগা প্রকল্পর নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। এই অন্যায় থেকে বাঁচতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই আশায় ছাই ছিটিয়ে দেবে বিএনপি। এ জন্য দেশব্যাপী সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১০ দফা দাবি এবং ২৭ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সরকার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুদক ও আদালতকে ব্যবহার করা শুরু করেছে। কিন্তু এগুলো করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। সংবিধান কোনো ধর্মগ্রন্থ নয় যে পরিবর্তন করা যাবে না।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের স্বাধীনতা পূর্ব চিন্তা থেকে না, আত্মরক্ষা করতে গিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়ে গেছি। যার মা-বাবার বিয়ে হয়নি ১৯৭১ সালে, সে মুক্তিযোদ্ধা। যারা গণহত্যার শিকার হয়েছে তাদের কি শহিদদের তালিকায় নাম আছে? নেই। মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদদের তালিকা তৈরি করে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া দরকার।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলি ঈশার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ ও বিশ্বনাথ সরকার। আলোচনা সভা থেকে আগামী ১১ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নগরীর ভুবন মোহন পার্কে গণঅবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরএআর