অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ আবুল কাওসারের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) কলেজের বরখাস্ত হওয়া অস্থায়ী কর্মচারী (দৈনিক হাজিরা) মিজানুর রহমান এই মামলা করেন।
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুদ্দিন হোসাইন অভিযোগটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
তবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ আবুল কাওসার বলেন, নিজেকে বাঁচাতে মিজানুর চাঁদা দাবির সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছে ।
বাদী মিজানুর রহমান অভিযোগ করে জানান, তিনি সরকারি এমএম কলেজের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী। কলেজের দক্ষিণ গেটের গেটম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। গত ৯ জুলাই দর্শন বিভাগের অফিস সহায়কের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনায় মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত ও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
২২ জুলাই অফিস সহায়ক মুজিবর রহমানের সঙ্গে তার মীমাংসা হয়। তদন্ত কমিটির কাছে মীমাংসার বিষয়টি লিখিত আকারে দেয়া হয়। প্রতিবেদনে মুজিবর রহমান তাকে ক্ষমা করে দিয়েছে উল্লেখ করা হয়।
তারপর অধ্যক্ষ মিজানুরের চাকরি ফিরিয়ে না দিয়ে এক লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তিনি তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। এরপর অধ্যক্ষের পা ধরে ক্ষমা চেয়ে চাকরি ফেরত চাইলে তিনি তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে চলে যান। মাটিতে পড়ে অসুস্থ হয়ে যান তিনি। চিকিৎসা শেষে তিনি আদালতে মামলা করেছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত প্রফেসর শেখ আবুল কাওসার বলেন, দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক কর্মচারী (অস্থায়ী) মিজানুর রহমান। দক্ষিণ গেটে দারোয়ান হিসেবে কর্মরত অবস্থায় দর্শন বিভাগের পিয়ন (স্থায়ী) মুজিবর রহমানকে পিটিয়ে জখম করেছে। তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর। এখনও সুস্থ হতে পারেনি। এ ঘটনায় মিজানুরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. হাসান সরোওয়ার্দীকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটির প্রতিবেদন এখনও পাইনি। এর মধ্যে মিজানুর ক্ষমা চেয়ে চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার দাবি করেছে। কলেজে এসে অসুস্থতার নাটকও করেছে।
এসপি