৬ ডিগ্রিতে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা, দুর্ভোগে নিম্ন আয়ের মানুষ

Dhaka Post Desk

জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড়

১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৩৯ পিএম


৬ ডিগ্রিতে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা, দুর্ভোগে নিম্ন আয়ের মানুষ

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত। আবারো তাপমাত্রা নামল ৬-এর ঘরে। এতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ে, ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল মঙ্গলবার থেকে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। গত ১৪ জানুয়ারিতে রেকর্ড করা হয়েছিল ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, তীব্র শীতে সাধারণ মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছে। শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। এতে বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে পরিবারের চাহিদা মিটাতে অনেকেই শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে ছুটছেন। দিনের বেলা লোকজনকে দেখা গেলেও সন্ধ্যা ও সকাল পর্যন্ত তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজারগুলো।

dhakapost

এদিকে, শীত প্রকোপে বেড়েছে নানা শীতজনিত রোগ। ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি,কাশি, শ্বাসকষ্ট দেখা যাচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। জেলা সদর ও উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

চিকিৎসকরা বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলায় আজ সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে। ভোর ৬টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। গত ৬ জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। জেলায় আজ মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এসকে দোয়েল/এমজেইউ

Link copied