সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট, মোটরসাইকেলই ভরসা

সিলেটে পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট চলছে। গত মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ধর্মঘটের কারণে বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে সিলেট নগরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে।
সকালে সিলেটের কদমতলী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন যাত্রী বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন। পরে বাস না পেয়ে মোটরসাইকেল ভাড়া করে তারা নির্দিষ্ট গন্তব্যে রওনা দেন।
ইকবাল হোসেন নামে এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, শহরের আশপাশের উপজেলায় যাত্রী নিয়ে যাই। আগে উবারে যাত্রী নিতাম। এখন চুক্তি করে নিচ্ছি।
ওসমানীনগর এলাকার বাসিন্দা তারেক মিয়া বলেন, জরুরি কাজে বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সিলেট এসেছিলাম। এখন মোটরসাইকেল ভাড়া করে বাড়ি ফিরছি।
কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে যাত্রীরা বাসের অপেক্ষায় বসে আছেন। অনেকে আবার অটোরিকশা কিংবা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
তবে সিলেট নগরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। এতে গত দুইদিনের তুলনায় যাত্রীদের দুর্ভোগ কিছুটা কমেছে।
সিলেট জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাকারিয়া আহমদ বলেন, বুধবার রাতে পুলিশের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তাদের কাছে আমরা ৬ দফা দাবি জানিয়েছি। দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে আমরা ধর্মঘট থেকে সরে এসেছি।
বৃহত্তর সিলেট পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম হাদী ছয়ফুল বলেন, শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় আমাদের ধর্মঘট শেষ হবে। এখনও পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার আশ্বাস পাইনি আমরা। আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে আমরা লাগাতার পরিবহন ধর্মঘট দিব।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সিলেটের পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে ৭২ ঘণ্টা সব ধরনের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় ‘বৃহত্তর সিলেট পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’।
আরএআর