সিআইডির ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই
বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার মুনির হত্যার আলোচিত মামলার তদন্ত চলাকালীন হামলার শিকার হয়েছে অপরাধ অনুসন্ধান বিভাগের (সিআইডি) একটি দল। এ সময়ে সন্দেহভাজন আসামিকে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মীরগঞ্জ ফেরিঘাট পন্টুনে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা স্থানীয় একটি ফার্মেসীতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে সিআইডি থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান বলেন, সিআইডি থেকে কিংবা সিআইডির কোনো সদস্য আমাদের কাছে এখনো কোন অভিযোগ দেননি। তবে সিআইডির ওপর হামলা হয়েছে স্থানীয়দের কাছ থেকে এমন কথা শুনে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। বিস্তারিত পরে বলতে পারব।
সোমবার রাতে মুলাদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কুমার মন্ডল বলেন, আমিও শুনেছি পন্টুনে সিআইডি টিমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে যেখানে ঘটনাস্থল সেটি বাবুগঞ্জ থানার আওতায় বলে আমি যাইনি। যতদূর জানি সেখানে বাবুগঞ্জ থানার কর্মকর্তারা রয়েছেন। তারা ঘটনা তদন্ত করে দেখছেন।
ফেরিঘাট এলাকার বাদল স্টোর্সের মালিক বাদল হাওলাদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার মূলত কনফেকশনারিজের দোকান। তবে তার পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু ওষুধ রাখি। সন্ধ্যায় সিআইডির দুজন অফিসার দোকানে এসেছিলেন। তাদের হাত ফেটে গেছে। আমি প্রাথমিক প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েছি। ওই সময়ে সিআইডির দুজন আমাকে বলেছে তারা আসামি ধরতে আসায় হামলা হয়েছে এবং আসামিও ছিনতাই করে নিয়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন স্থানীয় এবং পন্টুনে কর্মরতরা ঢাকা পোস্টকে হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, জেলা সিআইডির এসআই রুহুল আমিন ও কনস্টেবল আব্দুল হাকিম রাত সোয়া ৮টার দিকে মীরগঞ্জ ফেরিঘাটের ওপারে পন্টুনে যান। এই খবর জানতে পেরে মুনির হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন আব্বাসের স্বজনরা তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় সিআইডির দুইজনের হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
বাবুগঞ্জের গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনার পরপর সিআইডির আহত সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত ছাড়া কথা বলতে পারবেন না বলে জানান।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৪ মে সকালে মুলাদী উপজেলার চর কমিশনার গ্রামের ঘেরের পাশ থেকে জবাই করা অবস্থায় মনির হাওলাদারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা হলে ওই বছরের ৪ জুলাই মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় জেলা সিআইডির এসআই রুহুল আমিন।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরকে
