আ.লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ, ১২টি মোটরসাইকেলে আগুন

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া বাজারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে, বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি তাদের ওপরই হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। ঘটনার সময় ১২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে সদরের পাইকপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আওয়ামী লীগ মনোনীত কালিয়া হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মন্ডল ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিকেলে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ উপলক্ষে নেতাকর্মীরা সকাল থেকে পাইকপাড়া বাজারে সমবেত হচ্ছিল। এ সময় বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মী অতর্কিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালায়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দৌড়ে অন্যত্র সরে গেলে তাদের ১২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
একই ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম মনির ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে পদযাত্রা নিয়ে গেলে আগে থেকে সেখানে উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। আমরা এর প্রতিবাদ করি। তবে আমরা কোনো মোটরসাইকেলে ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগ করিনি। আমরা তো এমনিতেই বিপদে আছি। এর মধ্যে কি আমরা তাদের ওপর হামলা করতে পারি?
সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সামাদ তালুকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের কিছু নেতাকর্মী শান্তি সমাবেশর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালালে আমাদের নেতাকর্মীরা দৌড়ে সরে যায়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য কালিয়া হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর মুঠোফোনে কল দিলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) সুমন কুমার দাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। বর্তমানে এখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ঘটনা আসলে কী হয়েছিল তা এখনই বলতে পারছি না। আমরা তদন্ত করছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
শুভ কুমার ঘোষ/আরকে/এনএফ