বঙ্গোপসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ৪ জেলের একজন মারা গেছেন

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জলদস্যুদের হামলার মুখে জীবন বাঁচাতে সাগরে ঝাঁপ দিয়েছেন বরগুনার এফবি ভাই ভাই ট্রলারের ৯ জেলে। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে তাদের মধ্যে চার জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। পরে বিকেলে উদ্ধারকৃত জেলেদের মধ্যে একজন পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
মারা যাওয়া ওই জেলের নাম আবদুল হাই (৪০)। তিনি বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চামুপাড়া গ্রামের আসমত আলী হাওলাদারের ছেলে। পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে পাথরঘাটা মৎস্য বন্দর থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় এফবি ভাই ভাই নামে একটি মাছ ধরার ট্রলারে হামলা চালায় জলদস্যুরা। তাদের হামলায় ট্রলারে থাকা ১৮ জেলের মধ্যে ৯ জেলে সাগরে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন।
এরপর আজ ভোরে তালতলীর এফবি মা মরিয়ম নামে একটি ট্রলারের জেলেরা সাগরে নিখোঁজদের মধ্যে চারজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কোস্টগার্ডকে খবর দেয়। উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন- আব্দুল হাই (৪০), শফিকুল মাঝি (৩৫), ইয়াসিন জোমাদ্দার (৩২) ও জামাল খাঁ। এদেরকে তাৎক্ষণিক পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বিকেল ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুল হাই।
বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বঙ্গোপসাগরে ডাকাতদের হামলায় সাগরে পড়ে যাওয়া ৯ জেলের মধ্যে ৪ জেলেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। আজ সকালে গভীর বঙ্গোপসাগরে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে আবদুল নামে এক জেলে মারা গেছেন।
এ বিষয়ে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট হাসান মেহেদী বলেন, নিখোঁজ ৯ জেলের মধ্যে চারজনকে তালতলীর একটি ট্রলার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পাথরঘাটা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে একজনের মৃত্যু সংবাদ পেয়েছি। বাকিদের উদ্ধারে ও জলদস্যুদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
খান নাঈম/আরএআর