প্রধানমন্ত্রীকে নৌকাটি উপহার দিতে না পেরে মন খারাপ ইউছুফের
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে ‘জল ডাঙা মুজিব পরিবহন’ নিয়ে ঢাকায় যেতে চেয়েছেন কারিগর মো. ইউছুফ। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় যেতে পারেননি। ফলে প্রধানমন্ত্রীকে নৌকাটি উপহার দিতে পারলেন না ইউছুফ।
বুধবার (১৭ মার্চ) বিকেল পর্যন্ত প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউছুফ। তিনি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের পূর্ব চরকলাকোপা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
এর আগে ১৫ মার্চ নৌকাটি উদ্বোধন করেছেন ইউছুফ। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় বুধবার নৌকা নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিতে পারেননি। তিন বছর ধরে বানানো নৌকাটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়ার স্বপ্ন ছিল ইউছুফের। কিন্তু তার স্বপ্ন এখন রামগতিতে আটকে আছে। এজন্য মন খারাপ তার। প্রধানমন্ত্রীর কাছে নৌকাটি পৌঁছে দিয়ে স্বপ্নপূরণ করতে চান তিনি।
মো. ইউছুফ বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়ার জন্য রাস্তা দিয়ে চালিয়ে নৌকা নিয়ে ঢাকায় যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল মোমিন ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান আমাকে ঢাকায় যেতে নিষেধ করেছেন। এজন্য মন খারাপ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরে যাওয়ার অনুমতি দেবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল মোমিন বলেন, জেলা প্রশাসককে নৌকাটি দেখানো হবে। এটি দেখতে তিনি আসার কথা রয়েছে। কিন্তু আসতে পারেননি। ডিসির অনুমতি পেলে নৌকাটি ঢাকায় পাঠানো হবে।
জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়ার জন্য ইউছুফ একটি নৌকা বানিয়েছেন; গণমাধ্যমে সংবাদ দেখে বিষয়টি আমি জানতে পারি। তবে এ ব্যাপারে নৌকার কারিগর কিংবা তার পরিবার কেউ আমার কাছে কোনো আবেদন করেননি। তবু আমি নৌকাটি দেখতে যাব। এরপর সিদ্ধান্ত দেব।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে নৌকাটি নির্মাণ করেন ইউছুফ। এটি পানি ও সড়কপথে চলবে। তিন বছর ধরে ক্লান্তিহীন পরিশ্রম করে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করে এটি নির্মাণ করেছেন তিনি। যাত্রীসহ বুধবার নৌকাটি সড়ক দিয়ে চালিয়ে ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল তার। ঢাকায় যাওয়ার বিষয়ে অনুমতি চেয়ে বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়েছেন ইউসুফ।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এএম
