অতিরিক্ত গতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে : পুলিশ সুপার
![অতিরিক্ত গতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে : পুলিশ সুপার](https://cdn.dhakapost.com/media/imgAll/BG/2023March/bus-20230319211540.jpg)
মাদারীপুরের শিবচরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে বাস দুর্ঘটনাটি অতিরিক্ত গতির কারণে হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার (এসপি) মাসুদ আলম।
রোববার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। বেপরোয়া গতিতে চালানোর কারণে বাসটি এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যায়। যদি গতি নিয়ন্ত্রণ করে বাসটি চালাত তাহলে ২০ জনের জীবন এভাবে ঝরে যেত না।’
এসপি জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি সরাতে ঘটনাস্থলে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। তবে এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
ওই বাসের এক যাত্রী গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির উজ্জ্বল বলেন, ‘শুরু থেকেই বাসটি দ্রুতগতিতে চলছিল। এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীদের অনেকেই নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েছিলেন। কেউ কেউ চোখ বন্ধ করে ঝিমাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় কিছুই টের পাইনি। জ্ঞান ফিরলে দেখি, চারপাশে রক্ত আর লাশ। রক্ত দেখার পরে আমার জ্ঞান হারিয়ে যায়। পরে যখন টের পাই দেখি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। সড়ক থেকে গাড়ি উল্টে নিচে পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।’
আহত ইমামুল হোসাইন সাগরের খালা রেহানা বলেন, আমার ভাগ্নি খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকা থেকে ইমাদ পরিবহনে ঢাকায় আসছিলেন। গাড়ির অনেক গতি ছিল তাই আজ আমার বোনের মৃত্যু হয়েছে।
আহত আব্দুল হামিমের ভাই সাইদুর রহমান বলেন, আমাদের বাড়ি খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা এলাকায়। হামিম ইসলামিক ফাউন্ডেশনে চাকরি করে। সকালে ঢাকায় আসার সময় যে গাড়িতে ছিল সেই গাড়িটি অনেক গতিতে চালাইছে চালক। চালকের অসাবধানতার কারণে আজ আমার বড় ভাইয়ের জীবন চলে গেল।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন হাইওয়ে পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি সাহাবুদ্দিন খান, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি হাবিবা বিনতে সালমা, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলামসহ স্থানীয় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
রোববার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের বাসটি শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নিচে পড়ে যায়। এ সময় দুমড়ে-মুচড়ে যায় বাসটি। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন।
রাকিব হাসান/আরকে