আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্বে বৃদ্ধকে কুপিয়ে খুন, গ্রেপ্তার ৩
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় রবিউল ইসলাম (৫৫) নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে (১ এপ্রিল) নিহতের বাবা মিনাজ উদ্দীন বাদী হয়ে পলাশকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নামে হরিণাকুণ্ডু থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার পার্বতীপুর গ্রামের হেলাল উদ্দীনের ছেলে হুসাইন, বিরামপুর গ্রামের মসলেম উদ্দীনের ছেলে রানা ও হরিণাকুণ্ডু মাদরাসা পাড়ার আজিজুর রহমানের ছেলে নাইম। নিহত রবিউল ইসলাম হরিণাকুন্ড পৌরসভার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের মিনাজ উদ্দীনের ছেলে।
গত শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকাল ৫টার দিকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মসজিদের সামনে রবিউলকে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিউল ইসলাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মসজিদে আসরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একই গ্রামের প্রতিপক্ষরা রবিউল ইসলামের উপর হামলা করে। এ সময় তাদের হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে রবিউলের পিঠে ও মাথায় উপর্যুপরি কোপাতে থাকে। এতে তার মাথা ও পিঠের বিভিন্নস্থানে মারাত্মক জখম হয়।
হরিণাকুন্ড থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আক্তারুজ্জামান জানান, রবিউল ইসলামকে খুনের ঘটনায় উপজেলার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে পলাশকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা মিনাজ উদ্দীন। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। তবে সংঘর্ষ এড়াতে জোড়াপুকুরিয়া গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন/আরকে