তালা ভেঙে ইফতার মাহফিলে বিএনপির মঈন খান

তালা ভেঙে ইফতার মাহফিলে যেতে হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. মঈন খানকে। এছাড়াও নানা হযবরল অবস্থার মধ্যে নরসিংদীর পাঁচদোনায় বিএনপির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চে ওঠা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় হাতাহাতি হয়েছে। ওই সময় সাংবাদিকরা ফুটেজ তুলতে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাধা দেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের তোপের মুখেও পড়তে হয় সাংবাদিকদের।
গতকাল পাঁচদোনায় ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যেগে লালমিয়া কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এসব ঘটনা ঘটে।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে পাঁচদোনা ইউনিয়ন বিএনপি। ওই সময় বিএনপির নেতাকর্মীসহ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড.আব্দুল মঈন খান সেখানে গেলে কমিউনিটি সেন্টারটি তালাবদ্ধ দেখতে পান। পরে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা কমিউনিটি সেন্টারের তালা ভেঙে ড. মঈন খানকে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ইফতার মাহফিল পণ্ড করতে পুলিশ কমিউনিটি সেন্টারটির বাইরে তালা লাগিয়ে দেয়।
পাঁচদোনা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইউসুফ আহাম্মেদ বলেন, পুলিশ বিএনপির ইফতার মাহফিলে বাধা দেবে কেন। সেখানে তো পুলিশ যায়নি। তারা নিজেরাই তালা লাগিয়ে পুলিশের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের সরকার ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী নয়। তারা যদি সত্যিকার অর্থে ইসলামে বিশ্বাসী হতো, তাহলে এ দেশের প্রতিটি মানুষকে যার যার ধর্ম পালনে সুযোগ দিত। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপির ইফতার মাহফিলের কমিউনিটি সেন্টারে তালা দিয়ে দিতো না।
তিনি আরও বলেন ,সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশ বাংলাদেশে সরকার ইফতার আয়োজন করতে দেয়। সরকার ধর্ম পালনে বাধা দিয়ে কিছুই করতে পারবে না। আমরা অন্যের ধর্মে হস্তক্ষেপ করি না। অথচ সরকার ইসলাম ধর্মে হস্তক্ষেপ করছে।
ইফতার মাহফিলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পলাশ থানা বিএনপির সভাপতি মো. এরফান আলী, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল হক, ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুর সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, নরসিংদী শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি বাবুল সরকার, যুবদলের ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহেন শা শানু প্রমুখ।
তন্ময় সাহা/এনএফ