পঞ্চগড়ে ২৬৩ বস্তা ডিএপি সারসহ ডিলার আটক

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় অবৈধভাবে মজুত করে রাখা ২৬৩ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে মেসার্স রুম্পা ট্রেডার্সের রাখা সারের বস্তাগুলো জব্দ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা। এ ঘটনায় বিসিআইসির ডিলার ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফা জামান রাজুকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, মেসার্স রুম্পা ট্রেডার্সের মালিক মোস্তফা জামান রাজু বাজারে সারের দাম বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবৈধভাবে দুটি স্থানে ২৬৩ বস্তা ডিএপি সার মজুত করে রেখেছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে বুড়াবুড়ি সরকারপাড়া এলাকার ফয়জুল হকের বাড়ি থেকে ১৭৩টি বস্তা ও মোস্তফা জামান রাজুর চা বাগানের একটি ঘর থেকে মজুত রাখা ৯০ বস্তা সার উদ্ধার করে জব্দ তালিকা করা হয়।
অভিযানের সময় তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তারেক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, দাম বৃদ্ধির লক্ষ্যে এভাবে সার মজুত করা হয়। পরে কৃষকদের কাছ থেকে সারের দাম বেশি নেওয়া হয়। খুব ভালো হয়েছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
সারের ডিলার ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফা জামান রাজু বলেন, আমি সারের ডিলার। আমিতো চুরি-ডাকাতি করিনি। গতকালও ইউরিয়া সারের জন্য টাকা পেমেন্ট করলাম। বুড়াবুড়ি বাজারে গোডাউন না পাওয়ায় এখানে রাখতে হয়েছে। এসব বিষয়ে কোনো আইন জানা না থাকায় এভাবে রেখেছিলাম। তাই আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে সারগুলো পূর্বের দামে বিক্রি করে দেওয়ার অনুরোধ জানালেও কাজ হয়নি।
তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, সার জব্দের ঘটনায় বিসিআইসির ডিলার মেসার্স রুম্পা ট্রেডার্সের মালিক মোস্তফা জামান রাজুকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, মেসার্স রুম্পা ট্রেডার্সের মালিক ও ডিলার মোস্তফা জামান রাজু তার গোডাউনে সার না রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রির লক্ষ্যে অবৈধভাবে ২৬৩ বস্তা সার মজুত করে রাখেন। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে আমরা প্রথমে একটি বাড়ি থেকে ১৭৩ বস্তা ও অন্য একটি স্থান থেকে ৯০ বস্তা ডিএপি সার উদ্ধার করে জব্দ করি। এ ঘটনায় বিসিআইসির ডিলারের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তাকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আর সারের কৃত্রিম সংকট তৈরির অপচেষ্টা প্রতিরোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসকে দোয়েল/আরএআর