গাজীপুরে পোস্টার-বিলবোর্ড অপসারণের নির্দেশনা মানছেন না প্রার্থীরা

আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ৫ এপ্রিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রতীক বরাদ্দের আগে ১৩ এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণামূলক বা শুভেচ্ছা জানিয়ে লাগানো পোস্টার, ব্যানারসহ বিভিন্ন প্রচারপত্র নিজ উদ্যোগে ও খরচে অপসারণ এবং দেয়ালে লিখন মুছে ফেলার জন্য গত ৮ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক ও অলিগলিতে গিয়ে দেখা গেছে, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণামূলক বা ভোটারদের শুভেচ্ছা জানিয়ে লাগানো পূর্বের পোস্টার-ব্যানার কোনো প্রার্থী অপসারণ করেননি। বরং নতুন করে অনেক মেয়র সমর্থক, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর, তাদের সমর্থকরা বাসাবাড়ির দেয়াল, বিভিন্ন স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নির্বাচনী শুভেচ্ছামূলক পোস্টার ও ব্যানার সাঁটিয়েছেন। এছাড়াও সিটি করপোরেশনের ৪৯ নং টঙ্গীর এরশাদনগর, ৫০ নং ওয়ার্ড গাজীপুরা, ৪৮ নং ওয়ার্ড হোসেন মার্কেট, ৪৬ নং ওয়ার্ড ও ৫৫ নং ওয়ার্ড ঘুরেও কোথাও পোস্টার ব্যানার সরিয়ে নেওয়ার চিত্র দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণবিধি) বিধিমালা, ২০১৬ এর ৫বিধি অনুয়ায়ী কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে কোনো নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না। তথাপি গাজীপুর সিটির অধিকাংশ এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণামূলক বা শুভেচ্ছা জানিয়ে বিভিন্ন ধরনের পোস্টার, ব্যানার, স্টিকার, বিলবোর্ড, লিফলেট লাগানো হয়েছে। দেয়াল লিখন দেখা যাচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রম সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, যারা নির্দেশনা মানেননি তাদের বিরুদ্ধে আগামীকাল (১৪ এপ্রিল) থেকে অভিযানে নামব। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে থাকব। আমাদের নির্বাচনী বিধিমালায় যা আছে সেভাবেই আমরা কাজ করব।
শিহাব খান/আরএআর