‘ভোটের সময় সাংবাদিক নীতিমালা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়’

ভোটগ্রহণের সময় সংবাদ সংগ্রহের যে নীতিমালা জারি করা হয়েছে তা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের অন্তরায় বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ভোটগ্রহণের সময় সংবাদ সংগ্রহে নির্বাচন কমিশন প্রণীত সাংবাদিক নীতিমালা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে আগুয়ান-৭১ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের দুটি জাতীয় নির্বাচনসহ এখন অবধি দেশের নানা প্রান্তে অনুষ্ঠিত হওয়া বিভিন্ন নির্বাচন বিতর্কমুক্ত নয়, বরং সেসব নির্বাচনে ঘটে যাওয়া অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা গণতন্ত্রকামী সংগঠন হিসেবে আগুয়ান-৭১ কে ব্যথিত করে। বিগত দিনগুলোর নির্বাচন দিবালোকের মতো প্রশ্নবিদ্ধ, বিতর্কিত, একতরফা হওয়ার ফলে নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ কমে গেছে। ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারায় একটা বড় শ্রেণির ভোটার এখন ভোটকেন্দ্র বিমুখ।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক মহলের ওপর নির্বাচন কমিশনের চাপিয়ে দেওয়া নীতিমালাটি বাতিল করা না হলে জনমনে ভোটদানে বিঘ্নতা সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা আরও বাড়তে থাকবে। একইসঙ্গে একটি বড় শ্রেণি নতুন করে ভোটকেন্দ্র বিমুখ হবে। যা অবশিষ্ট গণতন্ত্রের পথ বন্ধ করার শামিল, যার দায় সম্পূর্ণরূপে নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। নির্বাচন কমিশন যদি নির্বাচনী মাঠের এসব অপতৎপরতা নির্মূল করতে না পারে তবে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং সন্দেহাতীতভাবে আস্থাহীনতার জন্ম দিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে আবারো কলঙ্কিত করবে।
মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী বলেন, যে কারণে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না সেটি যৌক্তিক। নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। এ নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন চাই। আমাদের নির্বাচনে আসার আগ্রহ ছিল না। তবে তরুণ সমাজকে জাগ্রত করতে এই নির্বাচনে আমাদের অংশগ্রহণ। আমরা এই নির্বাচনকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।
মোহাম্মদ মিলন/এমজেইউ