শেষ মুহূর্তে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শেষ মুহূর্তে মানুষের ঢল নেমেছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট এলাকায়। মানুষের চাপ থাকলেও কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই নদী পার হয়ে মানুষ গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাটুরিয়া ঘাট থেকে প্রতিটি লঞ্চ যাত্রীবোঝাই করে দৌলতদিয়া প্রান্তে এসে থামছে। প্রতিটি লঞ্চই কানায় কানায় যাত্রী রয়েছে। তবে নিয়ম মেনেই লঞ্চ মালিকরা যাত্রী তুলছেন। লঞ্চ ঘাটে যাত্রীর চাপ থাকলেও ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা গেছে উল্টো চিত্র। ফেরিতে যাত্রীর সংখ্যা তেমন নেই। যানবাহনের চাপও খুব একটা নেই। তাই ভোগান্তি ছাড়াই এবার ঘরমুখো মানুষ তাদের গন্তব্যে যাচ্ছে।
সাভার থেকে আসা পোশাক শ্রমিক আয়শা খাতুন বলেন, সাভার থেকে লোকাল বাসে পাটুরিয়া পর্যন্ত এসে লঞ্চে নদী পার হয়েছি। দৌলতদিয়া পর্যন্ত আসতে তেমন ঝামেলা হয়নি। তবে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
আরেক যাত্রী আজিজুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এই রুটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ নেই বললেই চলে। দক্ষিণবঙ্গের মানুষ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহার করে স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরতে পারছে।
দৌলতদিয়া ঘাট লঞ্চ মালিক সমিতির আরিচা কার্যালয়ের ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার মিলন ঢাকা পোস্টকে বলেন, শেষ মুহূর্তে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বেড়েছে। তবে পর্যাপ্ত সংখ্যক লঞ্চ থাকায় কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই নদী পার হতে পারছেন। আমরাও নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী লঞ্চে উঠাচ্ছি।
মীর সামসুজ্জামান/আরএআর