নাটোরে আ.লীগের ‘স্মার্ট কর্নার’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চেয়ার ছোড়াছুড়ি
নাটোরে ‘স্মার্ট কর্নার’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২ মে) দুপুরে শহরের কান্দিভিটুয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে কবির বিন আনোয়ার জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ‘স্মার্ট কর্নার’ উদ্বোধন করেন। সংঘর্ষে দুই পক্ষের তিনজন কর্মী আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- তামিম হোসেন (১৮), মাসুদ (৪৪) ও নাহিদ হোসেন (২০)।
জানা গেছে, দুপুরে নাটোরে স্মার্ট কর্নার উদ্বোধন এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবির বিন আনোয়ার। সভায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্য দফায় দফায় চলে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় প্রধান অতিথি কবির বিন আনোয়ার দুই পক্ষের মধ্যকার সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করেন। তিনি জেলা সৈনিক লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম জনিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল ও উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজানের সমর্থক ও নেতাকর্মীদের মধ্য এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, জামায়াত-বিএনপির লোকজন স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের সঙ্গে ওঠাবসা করছে। আজ স্মাট কর্নার উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভা শুরুর প্রাক্কালে আওয়ামী লীগ পরিবারের নেতৃবৃন্দকে চেয়ার থেকে তুলে দিয়ে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে। পরে তারা আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে লাঠিসোটা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। তারা পরিকল্পিতভাবে পার্টি অফিসে এসে হামলা চালিয়েছে।
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল জানান, রমজান সাহেবের অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন, বানোয়াট। জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ জেলা সৈনিক লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম জনিকে থাপ্পড় মারায় এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে এই সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করেন। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা তার সঙ্গেই আছে।
নাটোর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ জানান, অনুষ্ঠানে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তাপস কুমার/আরএআর