২০০ বছর ধরে নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করছে একটি গ্রাম
আঁকাবাঁকা মেঠো পথ আর সবুজ-শ্যামল, অপরূপ ও মনোমুগ্ধকর এক দৃশ্য। দিগন্তবিস্তৃত ধানক্ষেত, যেন অনন্য প্রকৃতি। এ যেন এক রূপকথার গ্রাম। যেখানে শিক্ষার হার শতভাগ। নেই একজনও নিরক্ষর। অধিকাংশই উচ্চশিক্ষায় আলোকিত। এখানে নেই চুরি, ডাকাতি বা মাদকের ছোবল। নেই ঝগড়া-বিবাদ। দুঃখে পরস্পরের পাশে দাঁড়ানো আর সুখে আনন্দ ভাগাভাগি করাই তাদের মূল বৈশিষ্ট্য।
এমন এক আদর্শ গ্রাম নাটোরের সিংড়া উপজেলার ১০ নম্বর চৌগ্রাম ইউনিয়নের হুলহুলিয়া। অবাক করা তথ্য হলো, গত ২০০ বছরেও এই গ্রামে কখনো পুলিশ আসার প্রয়োজন হয়নি।
জেলা সদর থেকে ৩৭ কিলোমিটার এবং সিংড়া থানা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে ছায়াঢাকা ও শান্ত এক গ্রাম হুলহুলিয়া। চলনবিলবেষ্টিত এ গ্রাম ১২টি পাড়া নিয়ে গঠিত। গ্রামের আয়তন প্রায় দুই বর্গকিলোমিটার। এই গ্রামে শিক্ষার হার ও স্যানিটেশন-ব্যবস্থা প্রায় শতভাগ।
একটা সময় ছিল, যখন বর্ষা মৌসুমে এই গ্রামে তেমন কোনো ফসল হতো না। ওই সময়ে মানুষের হাতে কোনো কাজও থাকত না। তাই অভাব লেগেই থাকত।
১৯১৪-১৫ সালের দিকে একবার প্রবল বন্যায় ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় গ্রামে অভাব দেখা দেয়। বন্যার পর গ্রামের অনেক চাষি ধানবীজের অভাবে জমি ফেলে রাখতে বাধ্য হন। সবার মনে কষ্ট, হতাশা। বিষয়টি গ্রামের মাতবর মছির উদ্দিন মৃধার মনে দাগ কাটে। একদিন গ্রামের প্রতিটি পরিবার থেকে একজন করে লোক ডেকে নিয়ে সভায় বসেন মৃধা। সিদ্ধান্ত হয়, যাদের ঘরে অতিরিক্ত ধানবীজ আছে, তারা বিনা শর্তে অন্যদের ধার দেবেন।
সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়, খালি জমি ফসলে ভরে ওঠে। এতে উদ্বুদ্ধ হয়েই গ্রামের উন্নয়নে সবাইকে নিয়ে একটি পরিষদ গঠিত হয়। ১৯৪০ সালের ১ জানুয়ারি গঠিত সেই পরিষদই আজ হুলহুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন পরিষদ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, হুলহুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের মাধ্যমে গ্রামের ‘নিজস্ব ব্যবস্থা’ পরিচালিত হয়। ২৩ সদস্যের সামাজিক উন্নয়ন পরিষদে একজন চেয়ারম্যান, একজন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২১ জন নির্বাহী সদস্য থাকেন। এ ছাড়া পাঁচজন উপদেষ্টা থাকেন কমিটিতি। দুই বছর পরপর গ্রামবাসীর প্রত্যক্ষ ভোটে পরিষদ নির্বাচিত হয়। পরিষদ গ্রামের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও বিচারব্যবস্থা পরিচালনা করে।
১৯৫৭ সাল থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে পরিষদের সদস্যদের মধ্য থেকে বিচারক প্যানেল গঠিত হয়ে আসছে। গ্রামে কোনো বিরোধ হলে এই প্যানেল আলোচনার মাধ্যমেই তা মীমাংসা করে। বড় কোনো অপরাধ সংঘটিত না হলে থানা বা আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না কারোরই। আর বিচারক প্যানেল ও পরিষদের ওপর গ্রামবাসীর আস্থা আছে বলে তারা পরিষদের ওপরই নির্ভর হন। এমন আস্থাই পরিষদের বড় সাফল্য বলে মনে করে গ্রামের বাসিন্দারা।
ব্রিটিশ আমল থেকে হুলহুলিয়া গ্রামে নিজস্ব ব্যবস্থা চালু আছে। এ নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে কখনো বিরোধ সৃষ্টি হয়নি। গ্রামের বিচারব্যবস্থায় ধর্মীয় ও রাজনৈতিক গোঁড়ামির কোনো ঘটনা নেই। ১৮৬৯ সালে হুলহুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়। কিন্তু উচ্চবিদ্যালয় না থাকায় প্রাথমিকের পর অনেকেই ঝরে পড়ত। পরিষদের উদ্যোগ আর গ্রামের মানুষের চেষ্টায় ১৯৬৬ সালে হুলহুলিয়া উচ্চবিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়। শুরুতে শিক্ষকদের অনেকেই বিনা বেতনে বা অর্ধেক বেতনে শিক্ষাদান করেছেন। পরে এখানে একটি মাদরাসাও প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি একটি বেসরকারি সংস্থার পরিচালনায় দুটি স্কুল চলছে।
চলনবিলবেষ্টিত হওয়ায় আগে বর্ষা মৌসুমে নৌকাই ছিল গ্রামটির যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। তবে পরিষদের চেষ্টায় এখন সারা বছর সড়কপথেও যাওয়া যায় এই গ্রামে। সবার সহযোগিতায় হুলহুলিয়ায় গড়ে উঠেছে মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান। গড়ে উঠেছে ডাকঘর ও দাতব্য চিকিৎসালয়।
গ্রামের সন্তান চিকিৎসকরা বিভিন্ন সময়ে বিনামূল্যে গ্রামবাসীকে চিকিৎসাসেবা দিতে আসেন। ১৯৪৪ সালে ‘দ্য হুলহুলিয়া ডায়মন্ড ক্লাব’ গঠন করা হয় গ্রামে। এই ক্লাবের উদ্যোগে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ১৩ সদস্যের একটি কমিটি এই ক্লাব পরিচালনা করে। হুলহুলিয়ায় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে আসছে ‘শিকড়’ ও ‘বটবৃক্ষ’ নামের দুটি অরাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। প্রতিষ্ঠানের সদস্য সবাই চাকরিজীবী। তাদের অনুদানে গ্রামের অভাবী ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি, অসহায় মানুষকে সহায়তা ও বেকারদের কর্মসংস্থান করা হয়।
একটা সময় গ্রামে কোনো কবরস্থান ছিল না। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে কেউ মারা গেলে পুকুরপাড় ও কোনো উঁচু স্থানে তাকে কবর দেওয়া হতো। পরিষদের চেষ্টায় প্রায় ৩৫ বিঘা জমির ওপর একটি স্থায়ী কবরস্থান করা হয়েছে। কবরস্থানের দেখভালের জন্য আছে ছয় সদস্যের একটি কমিটি।
গ্রামে বাল্যবিবাহ, যৌতুক, মাদক ব্যবসা নেই গ্রামে। সবাই শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসচেতন। এর প্রতিফলন দেখা যায় এই গ্রাম থেকে বেরিয়ে আসা মেধাবীদের পরিসংখ্যান দেখে। গ্রামের দেড় শতাধিক সন্তান প্রকৌশলী ও শতাধিক চিকিৎসকও হয়েছেন। আছেন কৃষিবিদ, আইনবিদ, প্রতিরক্ষা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও।
আধুনিক হুলহুলিয়া গঠনের উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু থেকে নিজেদের মেধা, অর্থ ও শ্রম দিয়ে গেছেন এ গ্রামের কৃতী সন্তানেরা। তবে যাদের ভোলার নয়, তারা হলেন শিক্ষাবিদ মরহুম মছির উদ্দিন মৃধা, মরহুম মফিজ উদ্দিন, মরহুম ফরিদ উদ্দিন শাহ, আণবিক শক্তি কমিশনের পরিচালক মরহুম হানিফ উদ্দিন মিঞা, আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব মরহুম এ কে তালুকদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম এম এম রহমত উল্লাহ প্রমুখ।
২০১৬ সালে জেডটিইর আর্থিক সহযোগিতায় ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে হুলহুলিয়া গ্রামে একটি ‘হুলহুলিয়া ডিজিটাল হাব’ স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে ১১টি কম্পিউটার, ১টি প্রজেক্টর, একটি ৭২ ইঞ্চি লাইভ টিভি, দুটি ওয়াই-ফাই জোন ও বিটিসিএল লাইন স্থাপন করা হয়েছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে এলাকাবাসীর নিজস্ব অর্থায়নে হুলহুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের দ্বিতল ভবনটি প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়। সেখানে একটি কমিউনিটি সেন্টারও স্থাপন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হুলহুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গ্রামের সবাই শতভাগ শিক্ষিত। গ্রামে মাদক ব্যবসা নেই। সবাই শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসচেতন। গ্রামের সন্তানদের মধ্যে দেড় শতাধিক প্রকৌশলী ও শতাধিক চিকিৎসকও হয়েছেন। আছেন কৃষিবিদ, আইনবিদ, প্রতিরক্ষা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও।
আমাদের গ্রামে আমরা কারও সঙ্গে সমস্যায় জড়িয়ে পড়লে আমরা পাড়ার সবাইকে ডেকে একত্রে বসি, এমনটা জানিয়ে হুলহুলিয়া গ্রামের বুলু সরদার বলেন, মীমাংসা না হলে গ্রামে যে আদালত আছে, সেখানে জানাই এবং তারা যে মীমাংসা করে দেয়, আমরা সেটা মেনে নিই। শান্তিপূর্ণভাবে থাকি।
সাবেক ইউপি সদস্য মো. সরওয়ার-ই-আজম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের গ্রামে ২০০ বছর ধরে আজ পর্যন্ত কোনো পুলিশ আসেনি এবং কোনো মামলা থানায় যায়নি। যতদূর সম্ভব আমরা সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের মাধ্যমে সব সমস্যার মীমাংসা করি। কোনো কারণে যদি কেউ বিচারে অনিচ্ছা প্রকাশ করে, তবে তিনি ৩০ দিন পর আদালতে যেতে পারেন। তবে গ্রামের ঊর্ধ্বে কেউই নই। আমাদের পূর্বপুরুষরা যেভাবে গ্রাম পরিচালনা করে গেছেন, অদ্যাবধি আমরাও চেষ্টা করে যাচ্ছি পূর্বের ঐতিহ্য রাখতে। আমরাও আমাদের সন্তানদের এই শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলছি, যাতে তারা সমাজের বন্ধনটা ধরে রাখতে পারে।
গ্রামের বাসিন্দা শতবর্ষী নবাব আলী শেখ বলেন, আমার ১০০ বছরেও আমি দেখিনি কেউ আদালতে গেছে। গ্রামে যে ঘটনাগুলো ঘটে, তা গ্রামের আদালতইে মীমাংসা করা হয়। আগে যারা গ্রাম চালিয়েছেন, তাদের প্রতি আমরা সন্তুষ্ট এবং বর্তমানে যারা আছে, তারাও খুব ভালোভাবে পরিচালনা করছে। এভাবে চলে আমরা খুব ভালো আছি।
জাহাঙ্গীর তালুকদার বলেন, আমার পারিবারিক ব্যাপার নিয়ে আমি গ্রাম আদালতে এসেছিলাম এবং সুন্দর ও সুষ্ঠু ফয়সালা পেয়েছি। আমার ভাতিজার সঙ্গে তার স্ত্রী গড়মিল ছিল। আমরা গ্রাম আদালতে গিয়েছিলাম ভাতিজাকে নিয়ে। তারা খুব সুন্দর ফয়সালা দিয়েছেন। আমাদের অন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি। আমার ৪৮ বছর বয়সে দেখেছি আমাদের গ্রাম আদালতের বাইরে কোথাও যেতে হয় না।
হুলহুলিয়া জামে মসজিদের সহসভাপতি তারেক মৃধা বলেন, গ্রামের মধ্যে একটাই মসজিদ। সামাজিকতার বন্ধনকে ধরে রাখতে অনেক আগেই থেকেই আমাদের নিয়ম মেনে এই মসজিদে আসতে হয়। আন্তরিকতার সঙ্গে নামাজ আদায় করি ও মসজিদটা সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়।
হুলহুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলমগীর কবির শাহ্ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়। আমরা যে আইনে বিচার করি, আমাদের ওপর গ্রামবাসীর আস্থা আছে বলেই মেনে নেন। বাইরে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করেন না।
হুলহুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আল তৌফিক পরশ বলেন, আমাদের গ্রামে যদি কোনো ঝগড়াবিবাদ হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের গ্রামের নিজস্ব বিধিবিধান আছে, সেখানে মীমাংসা করে ফেলি। আমাদের থানা বা কোর্টে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। গ্রামের মানুষ খুবই শান্তিপ্রিয়। শতভাগ শিক্ষিত গ্রাম হওয়ায় এখানে নেই কোনো বাল্যবিবাহ এবং গ্রামে আমাদের একটি আইসিটি হাব আছে, যা আমাদের গ্রাম ডিজিটালাইজড করার জন্য ভূমিকা রাখে।
১২টি পাড়া নিয়ে হুলহলিয়া গ্রামটি প্রতিষ্ঠিত এবং ১২টি পাড়ায় নিজস্ব বিচার বিভাগ আছে। গ্রামের সর্বোচ্চ আদালত হুলহুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন পরিষদ। যদি গ্রামের কোনো মানুষের কোনো সমস্যা থাকে তাহলে তারা পরিষদের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে বিনা পয়সায় সুষ্ঠু ফয়সালা করা হয় এবং সেটা সবাই মেনে নেয়। গ্রামের একটি নিজস্ব বিধিবিধান আছে। সেই বিধিবিধান মেনে গ্রাম পরিচালনা করা হয়ে থাকে।
১০ নম্বর চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, হুলহুলিয়া চৌগ্রাম অন্তর্গত একটি গ্রাম। গ্রামের শতভাগ মানুষ শিক্ষিত। গ্রামে সামাজিক উন্নয়ন পরিষদ রয়েছে। চেয়ারম্যান সদস্যদের নিয়ে একটি সালিসি বোর্ড গঠন করে গ্রাম উন্নয়নে কাজ করে থাকেন। হুলহুলিয়া গ্রাম আমাদের সিংড়ার একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম, একটি আদর্শ গ্রাম।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর-এ-আলম সিদ্দিকী ঢাকা পোস্টকে বলেন, থানার পরিসংখ্যানই বলে, হুলহুলিয়া গ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো। কোনো ধরনের বিরোধ হলে গ্রামের পরিষদই সমাধান করে।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এম সামিরুল ইসলাম বলেন, হুলহুলিয়া গ্রাম দেশের আর ১০টা গ্রাম থেকে আলাদা। গ্রামের মানুষ সামাজিক বন্ধনকে বেশি গুরুত্ব দেয়। এমন আদর্শ গ্রাম যেন দেশের প্রতিটা জায়গায় হয়।
জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, হুলহুলিয়া গ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেশ ভালো। এখানকার শান্তিপূর্ণ মনোভাব ও সমৃদ্ধির চেষ্টাকে দৃষ্টান্ত হিসেবে দেশের অন্যান্য গ্রামে ছড়িয়ে দেওয়া গেলে গড়ে উঠবে সুন্দর এক বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, হুলহুলিয়া গ্রামের সমাজব্যবস্থা খুবই উন্নত। বাস্তবতার আলোকে এটি সত্যিই বিস্ময়কর এক গ্রাম। সারাদেশের হানাহানি, মারামারি, বিরোধের মধ্যে হুলহুলিয়া গ্রাম যেন এক শান্তির বাংলাদেশ।
এনএ