চার জমজ সন্তানের জন্ম, ক্লিনিকের বিল নিয়ে চিন্তায় দিনমজুর বাবা

চুয়াডাঙ্গা শহরের বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান আঁখি তারা জেনারেল হাসপাতালে কল্পনা খাতুন (২৬) নামে এক নারী একসঙ্গে চার কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চার কন্যা সন্তান জন্ম দেন কল্পনা খাতুন।
কল্পনা চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার রাজমিস্ত্রী মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী। তাদের নাঈম নামে দশ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
এদিকে, চার কন্যা সন্তানের জন্য যেমন খুশিতে আত্মহারা তাদের বাবা ঠিক তেমনি কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে তার। এমনকি ক্লিনিকের বিল মেটানোর মতো অবস্থা তার নেই বলে জানান দিনমজুর মাহবুবুর রহমান।
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি রাজমিস্ত্রীর সঙ্গে শ্রমিক হিসেবে কাজ করি। যেদিন কাজ থাকে সেদিন ৪০০ টাকা পাই। যখন কাজ থাকে না তখন বসে থাকি।
তিনি বলেন, চার সন্তানের মুখ দেখে খুব খুশি হয়েছি। যা টাকা ছিল সিজার অপারেশন করার আগে ওষুধ ও বিভিন্ন সামগ্রী কিনতেই শেষ হয়ে গেছে। ক্লিনিকের বিল ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। সেটা কীভাবে দেব, এটা নিয়ে চিন্তায় পড়েছি। আমার স্ত্রীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। রক্ত জোগাড় করতে এখন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে আঁখি তারা জেনারেল হাসপাতালে স্বত্ত্বাধিকারী ডা. তরিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক নারী চার কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েছেন। চারজনই সুস্থ আছে। প্রসূতির রক্তরক্ষণ হচ্ছে। চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, চার কন্যাসন্তান আমার তত্ত্বাবধানে আছে। তারা কিছুটা অপুষ্ট। অক্সিজেন ছাড়াই বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। তাদের মায়ের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জেনেছি।
তিনি আরও বলেন, এর আগেও জমজ বাচ্চা দেখেছি। একসঙ্গে তিনটা বাচ্চা জন্মগ্রহণ খুব কম হয়। তবে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম আমার জীবনে এই প্রথম দেখলাম।
আফজালুল হক/এমএএস