সন্তানের পিতৃত্ব ও স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

জামালপুরের বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুল আলম বাবুর বিরুদ্ধে সন্তানের পিতৃত্ব ও স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার ২য় স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। বুধবার (১০ মে) দুপুরে বকশীগঞ্জ পৌরসভার বাগানবাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ২০১০ সালে বিয়ে করেন চেয়ারম্যান বাবু। পরে ২০১৮ সালে বিয়ের রেজিস্ট্রি করেন। তারপর আমার ভরণপোষণের জন্য আমি চাপ দিলে আমাকে তালাক দেয়। পরে আমি মামলা দায়ের করি। বাবু পরে আমাকে আবার বিয়ে করলে আমি সেই মামলা তুলে নেই। এরপর কিছুদিন ভালোভাবে সংসার চলে। এর মধ্যেই আমাদের কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তারপর থেকেই আমাকে ও আমার সন্তানকে অস্বীকার করে আসছেন তিনি। আমি গত মঙ্গলবার বিকেলে সন্তানের পিতৃত্ব ও স্ত্রীর মর্যাদার দাবি নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি গেলে আমাকে মারধর করেন এবং আমার সন্তানকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।
তিনি বলেন, আমাকে মারধর করার ঘটনায় আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি আমার স্ত্রীর মর্যাদা এবং সন্তানের পিতৃত্বের পরিচয়ের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয় জানতে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহামুদুল আলম বাবুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
লিখিত অভিযোগের বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, কয়েকদিন আগে ওই নারীকে তালাক দিয়েছেন চেয়ারম্যান। পরে চেয়ারম্যানের গ্রামের বাড়িতে গেলে তার পরিবারের লোকজন ওই নারীকে বাড়িতে উঠতে দেয়নি। এই ঘটনায় দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে, তদন্ত শেষে আইনগতব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিএস