মোখা আতঙ্কে উপকূলে ফিরতে শুরু করেছেন জেলেরা
পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকাগুলোতে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এখনও বৃষ্টি, দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেনি উপকূলের কোথাও।
তবে সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেওয়ায় উপকূলে ফিরতে শুরু করেছে সমুদ্রগামী মাছধরা ট্রলারগুলো। আলীপুর এবং মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার ট্রলার নোঙর করেছে।
বঙ্গোপসাগর থেকে ফিরে আসা জেলে সত্তার মাঝি বলেন, তিন-চার দিন আগে সাগরে জাল ফেলেছিলাম। তেমন মাছ পাইনি। হঠাৎ খবর পাই সাগরে নাকি ঘূর্ণিঝড় হবে, তাই সাগর উত্তাল হয়ে উঠার আগেই ঘাটে চলে এসেছি। তবে গভীর সাগর এখনও অনেকটাই স্বাভাবিক দেখে এসেছি।
কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. আনসার উদ্দিন মোল্লা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার তীব্রতা বাড়ার আগেই সাগরে থাকা ট্রলার ঘাটে ফিরতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অফিসের নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় দুই হাজার ট্রলার আলীপুর-মহিপুর ঘাটে ফিরেছে। আজকের মধ্যে সাগরে থাকা বাকি ট্রলারগুলো ঘাটে ফিরবে বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত উপজেলার উপকূলীয় এলাকার প্রায় অনেক ট্রলারের জেলেদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করতে পারিনি। গভীর সমুদ্রে থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রস্তুতি সম্পর্কে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। যারা এখনও সাগর থেকে ফিরেনি তাদের সঙ্গেও উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া ট্রলার মালিক সমিতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে কোনো ট্রলার সাগর বা নদীতে নতুন করে মাছ ধরতে না যায়।
এমজেইউ