কীর্তনখোলায় জাহাজে বিস্ফোরণ : তদন্ত শুরু করেছে দুটি কমিটি

কীর্তনখোলা নদীতে নোঙর করে রাখা এমটি এবাদী-১ জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে দুটি কমিটি। বিআইডব্লিউটিএ ও বরিশাল জেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত এই কমিটির আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের কথা রয়েছে।
শনিবার (১৩ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিআইডব্লিউটিএ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক বরিশাল নৌ বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আজকে বিআইডব্লিউটিএ গঠিত তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সম্ভাব্য সকল বিষয় নিয়ে ঘটনার শিকার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করা যাবে বলে আশা করছি।
এদিকে জেলা প্রশাসন গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক বেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসও জেলা প্রশাসন গঠিত কমিটির সদস্য। ওই কমিটির সঙ্গে আমরা কাজ করছি। খুব শিগগিরই প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কীর্তনখোলা নদীতে নোঙর করে রাখা তেলবাহী জাহাজ এমটি এবাদী-১ এর ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণে আগুন লেগে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাবুল কান্তি দাস ও স্বাধীন নামে দুইজন পুড়ে মারা যান। পরে আবুল কাশেম নামে অগ্নিদগ্ধ এক শ্রমিকের মরদেহ ২৪ ঘণ্টা পর নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় কালাম, রুবেল ও কুতুবউদ্দিন নামে আরও তিন শ্রমিক দগ্ধ হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিন দিন নদীতে নোঙর করে থাকার পর মেঘনা ডিপোতে তেল আনলোড করার কথা ছিল বৃহস্পতিবার। আনলোড করার জন্যই জাহাজ চালু করা হচ্ছিল। মেশিন স্টার্ট দিতেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এমটি এবাদী-১ জাহাজটি সাড়ে ১৩ লাখ লিটার জ্বালানি তেল নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে বরিশালে এসেছিল।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর