মোংলায় বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির সত্যতা পেয়েছে পিবিআই

বাগেরহাটের মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজার মো. সোহাগের বিরুদ্ধে দাপ্তরিক চিঠিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃতির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গত রোববার (২১ মে) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৬ এ পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার আব্দুর রহিম স্বাক্ষরিত এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদন ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজার মো. সোহাগের বিরুদ্ধে দাপ্তরিক চিঠিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগ এনে গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন রামপাল উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি নাজমুল হাসান শেখ।
এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২১ সালে মোংলা বন্দর থেকে বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরিত ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজার মো. সোহাগের স্বাক্ষরিত অন্তত ৮টি চিঠিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত লোগো কলম দিয়ে কেটে প্রেরণ করেছেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পিবিআই বাগেরহাট কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. ইকরাম হোসেন মামলাটি তদন্ত শুরু করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ, দাপ্তরিক কাগজপত্রসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা শেষে তিনি তদন্ত প্রতিবেদন দেন।
ওই প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. ইকরাম হোসেন উল্লেখ করেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজার মো. সোহাগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সরকারের জারিকৃত “মুজিব শতবর্ষ” লোগো কেটে বিকৃতি করেছেন। এছাড়া তিনি সাক্ষীদের কাছে মানহানিকর ও বিকৃত কথাবার্তা বলে জাতির মানহানি করেছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ফকির ইফতেখারুল ইসলাম রানা বলেন, মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। ধার্য তারিখে আদালত পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন। আশা করি আমরা ন্যায় বিচার পাব।
মামলার বাদী রামপাল উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি নাজমুল হাসান শেখ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্য আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। সেই বঙ্গবন্ধুর যে মানহানি করেছে, তাকে চাকরিচ্যুতসহ কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাই।
আরএআর