কলাপাড়ায় নজর কাড়ছে কালু-চান্দু

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কোরবানির বাজার ধরতে কালু ও চান্দু নামে বিশাল আকারের দুটি ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন সিদ্দিক মীর নামে এক খামারি। তিনি উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের থঞ্জুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। শাহিওয়াল ও হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় কালু-চান্দুকে দেখতে প্রতিদিন দর্শনার্থী ও ক্রেতারা আসছেন তার বাড়িতে। কালুকে কিনলে সঙ্গে একটি খাসি উপহার দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন এই খামারি।
সিদ্দিক মীর ২০১৯ সালে ৮৩ হাজার টাকায় একটি ষাঁড় ও একটি গাভি কেনেন পালনের জন্য। তারপর থেকেই প্রতিবছর একটি করে বাচ্চা দেয় সেই গাভিটি। কালু-চান্দু ছাড়াও তার খামারে রয়েছে আরও দুটি ষাঁড় ও একটি গাভি। ষাঁড় দুটি পরবর্তী বছরের জন্য প্রস্তুত করছেন তিনি।
কালু নামের গরুটির বর্তমান ওজন ২৭ মণ এবং চান্দু নামের গরুটির ওজন ২২ মণ। গরু দুটি এ বছর উপজেলার সবচেয়ে বড় চমক বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
সিদ্দিক মীর পেশায় একজন কৃষক। তিনি জানান, চার বছর আগে একটি এবং তিন বছর আগে একটি ষাঁড় পালন শুরু করেন। বর্তমানে তাদের প্রতিদিন খাবার লাগে প্রায় হাজার টাকার। এখন পর্যন্ত তিনি এদের পেছনে খরচ করেছেন প্রায় ১০ লাখ টাকা।
দুটি ষাঁড়ের নিয়মিত খাবারের তালিকায় থাকে খড়, ভুসি ও ভুট্টার আটা, চালের খুদ ও ছোলা বুটসহ অন্যান্য সাধারণ মাঠের ঘাসপাতা। তবে আদর-যত্নে কালু-চান্দুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খেয়াল রাখছেন সিদ্দিকের পরিবারের সবাই। সারাক্ষণ মাথার ওপরে ফ্যান চালানো হয়, দৈনিক ২-৩ বার গোসল করানো হয়।
সিদ্দিক মীর বলেন, আমি কালুর সঙ্গে একটি খাসি ফ্রি দিব। তবে চান্দুর সঙ্গে কিছু ফ্রি নেই। এখন কাঙ্ক্ষিত দামে বিক্রি করতে পারলে আমি সার্থক।
কবির নামে এক প্রতিবেশী বলেন, আমরা অত্র এলাকায় এ রকম ষাঁড় আর দেখিনি। অনেক লোক এগুলোকে দেখতে এসেছে। আমরা প্রতি বছর বাজারে এত বড় ষাঁড় আসলে দেখতে যেতাম। কিন্তু এখন নিজের এলাকায় দেখছি।
কলাপাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গাজী শাহ আলম বলেন, কৃষক সিদ্দিকের এই ষাঁড় দুটি উপজেলার মধ্যে অন্যতম। তার পরিশ্রমকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তাকে অনুসরণ করে যারা পশু পালনে আগ্রহী হচ্ছে তাদেরকে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছি। এ বছর উপজেলায় কোরবানির জন্য প্রায় ২০ হাজার ৯৮২টি পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আরএআর