জিডিপিতে বাবার রেকর্ডের কাছে যেতে পারেননি বঙ্গবন্ধু কন্যা : স্বপন

জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, আমরা জিডিপির উন্নয়ন নিয়ে গর্ব করি। প্রতিবছর দেশে জিডিপির উন্নয়নের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনার আগে জিডিপি ছিল ৮.১৫ ভাগ। ১৯৭৪ সালে এ দেশে কৃত্রিম সংকটের দেখা দিয়েছিল। তারপরও ১৯৭৪-৭৫ সালে দেশে জিডিপি ছিল ৯.৭৯ পার্সেন্ট।
তিনি বলেন, ১৯৭৪-৭৫ এর সময় সর্বোচ্চ জিডিপি হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা এত সফল কিন্তু বাবার রেকর্ডের কাছে যেতে পারেন নাই। ১৯৭৪-৭৫ অর্থ বছরে জিডিপির হার যদি এতো থাকতো তাহলে আমরা অনেক আগেই এগিয়ে যেতাম। কিন্তু ওই কুলাঙ্গাররা হতে দেয় নাই। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করল।
রোববার (২৮ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষে কালেক্টরেট মাঠে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় সংসদের হুইপ আরও বলেন, আমরা যদি নিজে সংশোধন হতে পারি, তাহলে অনেক দূর এগিয়ে যাব। আজকে কিছু বান্দর খামাখা মিছিল করছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে হাদিয়া নিয়ে ইসলাম প্রচার করে। এই বান্দরেরা আন্দোলন, মিছিল করে। এতে উন্নয়নের বাধা সৃষ্টি করে। ভারতে ২০-২৫ কোটি মুসলমান আছে। আমরা ১০-১২ লাখ রোহিঙ্গা নিয়ে আমাদের জীবন আশা যাওয়া। তাহলে ভারত ওই মুসলিমদের তাড়িয়ে দিলে কি হবে? ভারত ও চায়নার মধ্যে সম্পর্ক সাপে-নেউলে। কিন্তু আমাদের নেত্রী সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের মতো সম্পর্ক করেছে। তিনি সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, চায়না থেকে ভারতে কোনো মাল প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এটাই আমাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ। এতদিন ভারত আমাদের এক্সপোর্ট করতো এখন আমরা ভারতে এক্সপোর্ট করবো। ইউরোপ ও আমেরিকার কাছে পণ্য সাপ্লাই করে আমরা অনেক ভালো আছি। আমরা যদি বাড়ির কাছের ১৩৫ কোটির ভারত ও ১৪০ কোটির চায়নার মার্কেটে ঢুকতে পারি তাহলে আমাদের উন্নত সমৃদ্ধ হতে বেশি সময় লাগবে না।
সেমিনারে জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা পিপিএম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস.এম সোলায়মান আলী, জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মন্ডল প্রমুখ।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ এর অংশ হিসেবে কালেক্টরেট মাঠে ২৭-২৮ মার্চ দুই দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। এতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের ৭৩টি স্টল তাদের উন্নয়ন কার্যক্রম সামনে প্রদর্শন করেছেন।
চম্পক কুমার/এমএএস