সাভারের ২৮ কিলোমিটার সড়কে থেমে থেমে যানজট

সাভারের পোশাক কারখানাগুলোতে ঈদের ছুটি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাসস্ট্যান্ডে ঢল নেমেছে যাত্রীদের। হঠাৎ যাত্রী বেড়ে যাওয়ায় সাভারের ২৮ কিলোমিটার সড়কে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকেল ৩টার দিকে সাভারের মহাসড়কগুলো ঘুরে দেখা যায়, বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের বাইপাইল থেকে আশুলিয়া ব্রিজ ১২ কিলোমিটার, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পল্লীবিদ্যুৎ থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে ওঠা উজ্জল নামে এক যাত্রী বলেন, দুপুর দেড়টায় বাইপাইলে বাসে উঠেছি। এখন পর্যন্ত চন্দ্রা পৌঁছাতে পারিনি। সড়কে প্রথমে ধীরগতির সুষ্টি হয়। এখন থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ প্রায় সব কারখানা ছুটি হয়েছে। ফলে সবাই বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়েছেন। এ কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছি।
অপর যাত্রী আয়েশা বলেন, আমি আব্দুল্লাহপুর থেকে নীলফামারী যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠেছি। আশুলিয়া থেকে বাইপাইল পর্যন্ত থেমে থেমে যানজটে পড়েছি। এখন বাইপাইলে অবস্থান করছি। আজ মনে হয় টাঙ্গাইল পৌঁছাতে রাত পেরিয়ে যাবে। তবে পুলিশ যানজট নিরসনে অনেক চেষ্টা করছে। আসলে এতো যাত্রী আর গাড়ি যে প্রাকৃতিকভাবেই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
হানিফ পরিবহনের চালক মোহাম্মদ বলেন, দুপুর পর্যন্ত মহাসড়ক স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। এ কারণে সড়কে যানবাহন বেড়েছে। পাশাপাশি অনেক চালক সড়কের পাশে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠাচ্ছেন। ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আজিজুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা উত্তর ট্রাফিক পুলিশের অ্যাডমিন হোসেন শহীদ চৌধুরী বলেন, আমাদের পুলিশের সকল ইউনিট যার যার স্থান থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা সড়কেই রয়েছি। বিকেলে একটু গাড়ির চাপ পড়েছে। আশা করছি দ্রুতই চাপ কমে যাবে।
মাহিদুল মাহিদ/আরএআর