পাটক্ষেতে রাসেলস ভাইপারের কামড়, সাপ নিয়েই হাসপাতালে কৃষক

কৃষক জাহিদ প্রামাণিক (৩০)। নিজের পাটক্ষেতে নিড়ানি দিচ্ছিলেন। সে সময় হটাৎ তার ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে কিছু একটা কামড় দেয়। পরে তিনি দেখতে পান ডোরাকাটা একটি সাপ। তিনি পাশে থাকা লাঠি দিয়েই সাপটি মারেন। সাপটি মেরে পলিথিনে নিয়ে তিনি পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখানে জরুরি বিভাগে থাকা চিকিৎসক সাপটিকে রাসেলস ভাইপার হিসেবে শনাক্ত করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে কৃষক জাহিদকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে যেতে বলেন।
কৃষক জাহিদ সাপটি পলিথিনে নিয়ে বাসে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চলে যান। সেখানকার চিকিৎসকও সাপটি রাসেলস ভাইপার বলে দাবি করেন। পরে জাহিদকে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করে নেন তারা।
সোমবার (৩ জুলাই) সকালে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জাহিদ প্রামাণিক উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মাদু প্রামাণিকের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক।
হাবাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আল মামুন খাঁন ঢাকা পোস্টকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ সকাল ৮টার দিকে জাহিদকে সাপে কাটে। পরে জাহিদ ওই সাপটিকে মেরে পলিথিন ঢুকিয়ে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে সাপে কাটার চিকিৎসা না থাকায় তাকে কুষ্টিয়ায় রেফার্ড করা হয়। জাহিদ সঙ্গে করে সাপটিকে নিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চলে যান। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, কৃষক জাহিদকে যে সাপটি কামড় দিয়েছিল তিনি ওই সাপটি মেরে পলিথিনে করে নিয়ে এসেছেন। সাপটি রাসেলস ভাইপার। এটা খুবই বিষাক্ত সাপ। তিনি হাসপাতালে আসেন বেলা ১১টায়। আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাকে ভ্যাকসিন (অ্যান্টি ভেনম) দিয়েছি। পরে তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি এখন মোটামুটি সুস্থ আছেন। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে কয়েক দিন সময় লাগবে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাহিদ প্রামাণিক বলেন, সাপটি আমাকে ছোবল দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি সাপটিকে লাঠি দিয়ে মেরে ফেলি। পরে পলিথিনে ঢুকিয়ে হাসপাতালে চলে আসি।
মীর সামসুজ্জামান/আরএআর