একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম, চিন্তায় কর্মহীন বাবা
চুয়াডাঙ্গায় লতা খাতুন (২৫) নামে এক নারী একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। বুধবার (৬ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে শহরের একতা নার্সিং হোমে সিজারের মাধ্যমে তিন সন্তানের জন্ম দেন ওই নারী। নবজাতক ও তাদের মা সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
লতা খাতুন চুয়াডাঙ্গা শহরের সিএন্ডবিপাড়ার হাসিবুল হাসানের স্ত্রী। তাদের সাফিউল ইসলাম লাবিব নামের ১০ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
নবজাতকদের মধ্যে এক ছেলে ও দুই মেয়ে। এরই মধ্যে নবজাতকদের নাম রেখেছেন তাদের দাদি। ছেলের নাম হুসাইন এবং দুই মেয়ের নাম তাসফিয়া ও তাসকিয়া রাখা হয়েছে।
একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্মের খবর শুনে তাদেরকে একনজর দেখতে ক্লিনিকে ভিড় জমান স্বজনরা। কোলজুড়ে আগত তিন সন্তানের জন্য যেমন খুশিতে আত্মহারা বাবা, তেমনি কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। এমনকি ক্লিনিকের বিল মেটাতে হিমশিম খেতে হবে বলে জানান কর্মহীন বাবা হাসিবুল হাসান।
হাসিবুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি বর্তমানে কর্মহীন। আমার বাবার মিষ্টির দোকান দেখাশোনা করি। তিন সন্তান দেখে খুবই খুশি হয়েছি। সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে উপকার হবে।
নবজাতকদের দাদা শের আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আল্লাহর নিকট শুকরিয়া একসঙ্গে তিন নাতি দেখতে পেলাম। এতে অনেক খুশি হয়েছি। তবে আমার ছেলে কর্মহীন। আমার নিজস্ব ছোট্ট একটি মিষ্টির দোকানে থাকে ছেলে। সরকারের কাছে সাহায্য চাওয়ার ক্ষমতা আল্লাহপাক আমাদের দেইনি। যদি কেউ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে উপকৃত হবো।
একতা নার্সিং হোমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ বুধবার দুপুরে লতা খাতুনকে আমার প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে তার পরিবারের সদস্যরা। ঘণ্টা দুয়েক পর সিজারের মাধ্যমে তিন সন্তান জন্ম দেন তিনি। নবজাতক ও মা সবাই সুস্থ আছেন। একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম হওয়ায় আমরাও অনেক খুশি।
ডা. তরুণ কান্তি ঘোষ ঢাকা পোস্টকে বলেন, লতা খাতুন আমার তত্ত্বাবধানে ছিলেন। আজ সিজারের মাধ্যমে তিন সন্তানের জন্ম দেন তিনি। নবজাতকদের ওজনও ভালো। মা এবং তিন নবজাতকই সুস্থ আছেন। একসঙ্গে তিনটি বাচ্চা জন্মগ্রহণ অস্বাভাবিক নয়। চিকিৎসক হিসেবে আমিও আনন্দিত।
আফজালুল হক/এএএ