কোটি টাকার রাস্তায় নিম্নমানের সামগ্রী, কাজ বন্ধ করল এলাকাবাসী

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় একটি নতুন রাস্তা নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।অনিয়মের অভিযোগে এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে শুক্রবার (৭ জুলাই) সকালে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়।
জানা গেছে, উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ধানুরীয়া গ্রামে ৯৭ লাখ ৬৮৮ টাকা ব্যয়ে ১১০০ মিটার রাস্তার নির্মাণকাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বাঁধন ট্রেডার্স।সরকারি প্রকল্পের আওতায় এলজিইডি পাংশা উপজেলা কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে চলছে এই নির্মাণকাজ।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইচ্ছেমতো রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করছে। কাজের শুরু থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করে আসছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে বললেও তারা তোয়াক্কা না করে কাজ চালিয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা শামিম বলেন, কাজের শুরু থেকেই ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ শুরু করে। তাদেরকে বারা বার বলার পরও তারা কাজ চালিয়ে যায়। আজ আমরা এলাকাবাসী সব এক হয়ে কাজে বাঁধা দেই। কারণ নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করলে সেই রাস্তা বেশিদিন টিকবে না।
বৃদ্ধ আতাহার বলেন, পোড়া মাটি দিয়ে কাজ করতেছে। জায়গায় জায়গায় উপর দিয়ে ভালো উপকরণ দিলেও নিচ দিয়ে পোড়ামাটি দিচ্ছে।
রহমত আলী, ইয়াকুব মৃধা,সুরুজ ব্যাপারী, সুজন শেখসহ একাধিক বাসিন্দা বলেন, এখানে সঠিক নিয়মে বেড কাটা হয়নি। দুই নম্বর ইট দেওয়া হয়েছে, অর্ধেক বালি ও অর্ধেক খোয়া দেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। রাস্তার পাশে মাটি মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ইদ্রিস মন্ডল বলেন, আমি সাইটে না থাকার সুযোগে ভাটা মালিক আমার অজান্তে ভুলবশত খারাপ ইটের খোয়া পাঠিয়েছে। পরে আমি জানতে পেরে সেগুলো অপসারণের নির্দেশ দিলে খোয়াগুলো সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
পাংশা উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিম্নমানের ইটের খোয়াগুলো সরিয়ে নিতে বলা হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। পরে সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মীর সামসুজ্জামান/আরকে