খাবারে বিষক্রিয়ায় পরিবারের একজনের মৃত্যু, অসুস্থ ৪

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার শালদাহ গ্রামে খাবারে বিষক্রিয়ায় একই পরিবারের পাঁচজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই পরিবারের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত বৃদ্ধ মোমিনুল ইসলাম (৬০) খাবারের বিষক্রিয়ায় ও চিকিৎসার অবহেলাই মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করছে পরিবার। তবে চিকিৎসক বলছেন স্টোক হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
বিষক্রিয়া অসুস্থরা হলেন, মৃত মোমিনুল ইসলামের স্ত্রী সাহেরা বেগম (৫৫), ছেলে শামীম রেজা সুমন (৩৫), সুমনের স্ত্রী মমতাজ (৩০) ও ছেলে গালিব (৬)।
শামীম রেজা সুমন বলেন, গতকাল সোমবার রাত ১০টার সময় পরিবারের সকালে মাছ ও মাংস দিয়ে ভাত খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়ি। ভোর থেকে বাড়ির সবার পাতলা পায়খানা শুরু হলে মঙ্গলবার সকালে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকলে ভর্তি হই। আমি, আমার মা, স্ত্রী ও সন্তান কিছুটা সুস্থতা বোধ করলেও আমার বাবার অবস্থা ধীরে ধীরে অবনতি হতে থাকে। আমি অসুস্থ অবস্থায় ডিউটিতে থাকা ডাক্তারের কাছে বার বার বিষয়টি জানালেও ডাক্তার আমার বাবার বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় আমার বাবার মৃত্যু হয়। চিকিৎসায় অবহেলায় বাবার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সামসুজ্জোহা বলেন, একই পরিবারের ৫ জন খাদ্যে বিষক্রিয়াজনিত কারণে ভর্তি হলেও বৃদ্ধ মোমিনুল ইসলামের মৃত্যু হয় স্ট্রোক করে।
গাংনী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, মোমিনুল ইসলাম আমার নিকট আত্মীয়। গতরাতে খাবার খেয়ে সবাই অসুস্থ অবস্থায় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলে আমি তাদের দেখতে যাই। তারা সবাই তখন সুস্থ ছিল। দুপুরের পর মোমিনুল ইসলামের অবস্থা অবনতি হলে আমি ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলি। তারা আমার কথায় গুরুত্ব দেননি। চিকিৎসায় অবহেলার কারণে মোমিনুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও বলেন ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেব।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) বলেন, মমিনুল ইসলামের অনেক বয়স হয়েছে যে কারণে তিনি অনেকটা নার্ভাস হয়ে পড়েন। পরে তিনি স্ট্রোক হয়ে মারা গেছেন। চিকিৎসকের অবহেলার বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন চিকিৎসকের অবহেলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
গাংনী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, এ বিষয়ে আমি এখন পর্যন্ত অবগত নই। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আকতারুজ্জামান/আরকে