নারায়ণগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে যেতে পুলিশের বাধা, আটক ২৯

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের পুলিশ তল্লাশির নামে বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া সমাবেশে যাওয়ার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে বিএনপির ২৯ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যলয় এলাকা থেকে নেতাকর্মীদের আটকের পর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন এ অভিযোগ করেন।
আটক ২৯ জনের মধ্যে ফতুল্লা থানা তাঁতী দলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান উজ্জ্বল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মিজানুর রহমান মিজান, সাবেক যুবদল নেতা সাজিদুল ইসলাম সেলিমসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা রয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার আঞ্চলিক ও মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ তল্লাশি করছে। এ সময় ঢাকাগামী পরিবহনগুলোতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে সমাবেশগামী বিভিন্ন পরিবহনে তল্লাশি চালাচ্ছেন জেলা পুলিশের সদস্যরা। যাত্রীদের বহন করা ব্যাগসহ পুরো গাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছে। নগরীর চাষাঢ়া ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ডের ঢাকামুখী সড়কে বেশ কয়েকটি সমাবেশগামী বাস আটকে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেখানে পরিবহনের সংশ্লিষ্ট কাগজ-পত্র না থাকার অযুহাতে তাদের ঢাকা যেতে দেওয়া হয়নি।
নগরীর চাষাঢ়া এলাকায় সমাবেশগামী মহানগর বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীদের বহন করা গণবন্ধন পরিবহনের একটি বাসকে কাগজ-পত্র না থাকার অভিযোগে আটক করে নারায়ণগঞ্জ সদর থান পুলিশের একটি দল। পরে বাস থেকে নেতাকর্মীদের নামিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে নেতাকর্মীদের আটকের বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আল-মামুন জানান, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে বিএনপির কিছু নেতাকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান মোল্লা জানান, তল্লশি অভিযান পুলিশের রুটিন ওয়ার্ক। নাশকতার উদ্দেশ্যে কেউ বিস্ফোরকদ্রব্য বহন করছেন কিনা সেটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া বিএনপির সমাবেশ ঘিরে যেন কোনো ধরনের নাশকতা না ঘটে সে জন্য সতর্ক অবস্থানে আছে পুলিশ।
আবির শিকদার/আরএআর