ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে ৪ ঘণ্টায়
কুমিল্লার লাকসাম থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) লাকসাম রেলওয়ে জংশনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ডুয়েলগেজ রেলপথের উদ্বোধন করেন তিনি। এ রুটে যেতে আগে সাড়ে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগলেও এখন সময় লাগবে ৪ ঘণ্টা।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে এ সময় লাকসাম রেলওয়ে জংশনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এবং রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম এমপিসহ আরও অনেকে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ডাবল লাইন নির্মাণের ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম সম্পূর্ণ রেলপথ ডাবল লাইনে উন্নীত হবে। এই পথ নির্মাণের ফলে ভ্রমণে এক ঘণ্টা সময় কমে আসবে। এতে রেলযাত্রা আরামদায়ক ও জনবান্ধব হবে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই নতুন ডাবল লাইন রেলপথে সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। আমরা রেলপথে গতি এনে দিয়েছি, তাই আমি রেলের চালকদের কাছে অনুরোধ করব তারা যেন জনবহুল এলাকায় রেল চলাচলের সময় নিরাপত্তার স্বার্থে গতি নিয়ন্ত্রণ করেন। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই যারা এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত থেকে সাধারণ মানুষের উন্নয়ন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নৌকাকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে বলেই আমরা এই সেবা করতে পারছি। তাই অনুরোধ করব তারা যেন আবার জামাত-বিএনপিকে ভোট দিয়ে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেয়।
গণভবন প্রান্ত থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন করেছেন। জনগণের ভোগান্তি দূর ও দুর্ভোগ দূর করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সর্বজন প্রশংসনীয়। আখাউড়াবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
লাকসাম প্রান্ত থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত এই ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণ যাত্রাপথে গতি আনবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের পূর্ব শর্ত। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ রেলওয়ে উন্নয়ন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সভাপতি রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রতিটি জেলার সাথে রেল যোগাযোগ সম্প্রসারণ করার প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা। নারায়ণগঞ্জ থেকে চট্টগ্রাম এবং টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত বিদ্যুতের মাধ্যমে যেন ট্রেন চলাচল শুরু হয় সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
নতুন এই লাইনে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে ট্রেন। আর ৬০ কিলোমিটার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে মিটারগেজ ট্রেন ৮০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারবে। মহানগর ও চট্টলা এক্সপ্রেসে আগে সাড়ে ৬ ঘণ্টা লাগলেও দেড় ঘণ্টা কমে এখন ৫ ঘণ্টায় চলাচল করতে পারবে। ফলে ট্রেনের যাত্রাপথ কমার পাশাপাশি একটি ট্রেন দিয়ে একাধিকবার চলাচলের সুযোগও তৈরি হয়েছে।
আরিফ আজগর/এএএ