যশোর পৌরসভার মেয়র হলেন আ.লীগের পলাশ

যশোর পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হায়দার গণি খান পলাশ। ৩২ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রার্থী ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরদার হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৪৭ ভোট। বিএনপি মনোনীত মারুফুল ইসলাম ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৩০২ ভোট।
বুধবার (৩১ মার্চ) রাতে নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার হুমায়ুন কবীর।
নবনির্বাচিত কাউন্সিলরা হলেন, ১ নম্বর ওয়ার্ডে সাহিদুর রহমান রিপন ওরফে ডিম রিপন, ২ নম্বর ওয়ার্ডে রাশেদ আব্বাস রাজ, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মোকসিমুল বারী অপু, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে রাজিবুল আলম, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আলমগীর কবির সুমন ওরফে হাজী সুমন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সাহেদ হোসেন নয়ন ওরফে হিটার নয়ন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রদীপ কুমার নাথ বাবলু, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে অ্যাড. আসাদুজ্জামান বাবলু।
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে আইরিন পারভীন ডেইজি, ২ নম্বর ওয়ার্ডে নাসিমা আক্তার জলি ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে রোকেয়া পারভীন ডলি নির্বাচিত হয়েছেন।
যশোর পৌরসভায় নির্বাচনে লড়েছেন মোট ৬৩ প্রার্থী। এর মধ্যে ৩ জন মেয়র, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ১৩ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৭ জন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী হায়দার গণি খান পলাশ, বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের মারুফুল ইসলাম ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের মোহাম্মদ আলী সরদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যদিও প্রতীক বরাদ্দের পর ধানের শীষের প্রার্থী গত ১৮ মার্চ ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।
পৌরসভা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌরসভার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সীমানা জটিলতা নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলার প্রেক্ষিতে ৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে মামলার নিস্পত্তি হলে ৩১ মার্চ ভোট গ্রহণের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু তারপরও নির্বাচন হওয়া, না হওয়া নিয়ে নানান গুঞ্জন ছিল। সব গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে ভোটগ্রহণ।
জাহিদ হাসান/এমএএস