জুস দেন আর ফুল দেন শেষ রক্ষা হবে না : হেলাল

বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে, ক্ষমতায় থাকার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। বিদায় নেওয়ার আগে তারা নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সমস্ত দায় বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে।
ঢাকায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে খুলনায় জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আজিজুল বারী হেলাল বলেন, সরকার গণবিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে এখন জনগণের সঙ্গে অসংলগ্ন আচরণ করতে শুরু করেছে। তারা চলমান সরকার পতনের গণআন্দোলনকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে দমন করার জন্য দমন-পীড়ন ও গণগ্রেপ্তারের পথ বেছে নিয়েছে। পুলিশ দিয়ে পেটানো হচ্ছে জাতীয় নেতাদের। আবার তাদের জন্য উপহার পাঠিয়ে সরকার নির্মম পরিহাসে লিপ্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, পায়ে পাড়া দিয়ে গন্ডগোল করতে চায় সরকার। পুলিশের সেকেন্ড ফোর্স হিসেবে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করে ভালো করেনি। সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বিএনপি মনে রাখবে। এদেশের মাটিতেই বিচার হবে একদিন। পুলিশের সামনে কারা গাড়িতে আগুন দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ব দেখেছে। ১৪ সালেও একই কায়দায় তারাই গাড়ি পুড়িয়ে বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা করেছে। পুলিশ কেন গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করলো না। সরকারকে দেশের মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সম্প্রতি দুটি আসনের নির্বাচনে ১১% ভোট তারা প্রমাণবহন করে। ১১% ভোটের মধ্যে জালিয়াতি ভোটও রয়েছে। আওয়ামী লীগের ভোট এখন শূন্যের কোঠায়।
অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগের দাবি করে আজিজুল বারী হেলাল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই আগামীর নির্বাচন হবে। শেখ হাসিনার অধীনের এদেশের কোনো ভোট হবে না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেন? নাকি পালিয়ে যাবেন? ব্ল্যাকমেইল করা আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস রয়েছে। মওলানা ভাসানীর ছবি তুলে যেভাবে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছিল, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ছবি তুলে সেভাবেই ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে। জুস দেন আর ফুল দেন শেষ রক্ষা হবে না, গণভবন ছাড়তে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে। না হলে বালুর মতো ভেসে যেতে হবে জনস্রোতের মুখে।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পির পরিচালনা সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, আবু হোসেন বাবু, স ম আব্দুর রহমান, বেগম রেহানা ঈসা, জুলফিকার আলী জুলু প্রমুখ।
সমাবেশ থেকে ঢাকায় গ্রেপ্তারকৃত খুলনা বিএনপির ১২ নেতাকর্মীসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবি জনান বক্তারা। সমাবেশ শুরুর আগে বিভিন্ন ওয়ার্ড, থানা, উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।
মোহাম্মদ মিলন/আরএআর