সিলেটে রাত ১০টার পর বাইরে বের হওয়া যাবে না

সিলেটে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০টার পর বাইরে থাকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে দুই সপ্তাহের জন্য সব ধরনের সভা-সমাবেশ বন্ধসহ ১১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (০২ এপ্রিল) সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দেশে করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ৩১ জেলার মধ্যে সিলেট একটি। এই অবস্থায় শহরের দোকানপাঠ, শপিংমল, হাট-বাজারে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা জরুরি। তাই বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে জরুরি সভা করে রাত ৯টার মধ্যে দোকান বন্ধসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ নির্দেশনা অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ বিষয়ক সেলের গণমাধ্যম কর্মকর্তা শাম্মা লাবিবা অর্ণব প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে সিলেটে ১১ বিধিনিষেধ জারি করেছে জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে রয়েছে- সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয়সহ সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ। মসজিদ-মন্দিরসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে যথাথথ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। পর্যটন-বিনোদনকেন্দ্র, সিনেমা হল, থিয়েটার হলে অন্য জেলার পর্যটক/দর্শনার্থীদের আগমন নিষিদ্ধ। সিএনজিচালিত অটোরিকশা-বাসসহ সব ধরনের গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। গণপরিবহনে ধারণক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। হাট-বাজার, মার্কেট, শপিংমলসহ বিভিন্ন স্থানে রাত ৯টা পর্যন্ত চালু থাকবে। এসব স্থানে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই যথাযথভাবে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে।
প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদরাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় ও কোচিং সেন্টারসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। প্রয়োজন ব্যতীত ঘরের বাইরে অবস্থান করা যাবে না। অপ্রয়োজনীয় ঘুরাফেরা বা আড্ডা নিষিদ্ধ। এছাড়াও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০টার পর বাইরে বের হওয়া যাবে না। সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা যথাসম্ভব অনলাইনে আয়োজন করতে হবে। হোটেল-রেস্তোরাঁয় ধারণ ক্ষমতার অর্ধেকের বেশি ক্রেতা প্রবেশ করানো যাবে না।
তুহিন/আরএআর