গণভবনে বক্তব্য দিয়ে এলাকায় তোপের মুখে আ.লীগের সভাপতি

গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সামনে বক্তব্য দিয়ে দলীয় নেতাকমীর্দের তোপের মুখে পড়েছেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর।
শনিবার সকালে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জনতা ভবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন দলের কয়েকজন নেতা। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় এমপি আসম ফিরোজ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম ফারুক অভিযোগ করে বলেন, গণভবনে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সত্য ঘটনা উল্লেখ না করে জেলা সভাপতি কাজী আলমগীর অসত্য ও শিখিয়ে দেওয়া বক্তব্য দিয়েছেন। তার এ বক্তব্যের কারণে প্রধানমন্ত্রী বাউফলের রাজনৈতিক সঠিক চিত্র থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তার বক্তব্য হচ্ছে, ‘ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না’ কাজী আলমগীর দলকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। অথচ স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতি আসম ফিরোজের নেতৃর্ত্বে দল এখন পর্যন্ত সুসংগঠিত রয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সরকারি পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সাহাবুদ্দিন বলেন, আমি বগা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি হয়েছি। বগা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রেজাউল খাঁনকে পিটিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। যুবলীগ নেতা মালেক মীরকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি জোর দখল করে বাসাবাড়ি নিমার্ণ করে নেত্রীর ভাবমূর্তি বিনষ্ট করছেন দলের শীর্ষ এক নেতা। জেলা সভাপতি কাজী আলমগীর সেই নেতার কর্মকাণ্ড নেত্রীর কাছে উপস্থাপন করেননি। তিনি (কাজী আলমগীর হোসেন) গণভবনে দায়সারা বক্তব্য দিয়ে দলের মধ্যে গ্রুপকে আরও উস্কে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, যা সত্যি আমি তাই দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তুলে ধরেছি। তবে জেলার মধ্যে বাউফলের মতো আর কোনো উপজেলায় আওয়ামী লীগের মধ্যে এতো কোন্দল নেই। প্রধানমন্ত্রী খোঁজখবর নিয়ে দেখুক। আমি তাকে সত্য বলেছি, নাকি মিথ্যা বলেছি।
প্রসঙ্গত, গত ৬ আগস্ট গণভবনে আওয়ামী লীগের বরিশাল বিভাগীয় তৃর্ণমূল নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভা করেন। ওই সভায় পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান অবস্থান তুলে ধরেন।
এমএএস