কুলাউড়ায় আরও জঙ্গি আস্তানার সন্ধান মিলেছে : সিটিটিসি
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার পাহাড়ে আরও জঙ্গি আস্তানার সন্ধান মিলেছে। আগামীকাল সেখানে অভিযান চালাবে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে প্রেস বিফিংয়ে এ তথ্য জানান সিটিটিসির প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
এর আগে সকালে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে জঙ্গি সন্দেহে আরও ১৭ জনকে আটক করেন স্থানীয়রা। তাদেরকে কর্মদা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে রাখা হয়। সেখানে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন তাদের ঘিরে রাখে। সন্ধ্যায় সিটিটিসির সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।
>>> ‘স্বপ্ন ছিল ছেলে বড় ডাক্তার হবে, বউসহ জঙ্গি হবে এটা ভাবিনি’
সিটিটিসির প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, সকালে কর্মধা ইউনিয়নের আছকরাবাদ বাজার থেকে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে আটক করে। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটও খবর পেয়ে আসে।
তিনি বলেন, আটককৃতরা জঙ্গি সংগঠন ইমাম মাহমুদ কাফেলার সদস্য বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। আমরা আগেই বলেছিলাম যে তাদের আরও আস্তানা এখানে আছে। এরই ধারাবাহিকতা থেকে আজ তারা আস্তানা থেকে পালানোর চেষ্টা করছিল। তারপর আজ তাদের আটক করা হয়। যেহেতু এখানে অনেক ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার আছে তাদেরকে আরও গভীর জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। যার কারণে আমরা আগামীকাল সকালে ওই এলাকায় আবার অভিযান চালাবো। এখন পর্যন্ত অভিযানের স্বার্থে তাদের পরিচয় কিংবা অন্য কিছু নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না।
>>> কুলাউড়ায় জঙ্গি সন্দেহে ১৭ জনকে আটক করেছে স্থানীয়রা
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১২ আগস্ট) ভোরে কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নে বাইশালী নামক ওই পাহাড়ি টিলায় সিটিটিসি, সোয়াট, জেলা পুলিশ ও কুলাউড়া থানা পুলিশ অভিযান চালায়। শুক্রবার রাত ৮টা থেকে ওই বাড়ি ঘিরে রাখে সিটিটিসি ও স্থানীয় পুলিশ। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন হিলসাইড’।
এ সময় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই নব্য জঙ্গি সংগঠন ইমাম মাহমুদের কাফেলার সদস্য। তাদের আস্তানা থেকে প্রায় তিন কেজি বিস্ফোরক, ৫০টির মতো ডেটোনেটর, তিন লাখ ৬১ হাজার টাকা, প্রশিক্ষণ সামগ্রী, কমব্যাট বুট এবং কয়েক বস্তা জিহাদি বই জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থানার রাফিউল ইসলাম (২২), কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার হাফিজ উল্লাহ (২৫), নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার খায়রুল ইসলাম (২২), তার স্ত্রী মেঘনা (১৭), সাতক্ষীরার শরিফুল ইসলাম (৪০), পাবনার আটঘরিয়া থানার আব্দুছ ছত্তারের স্ত্রী শাপলা বেগম (২২), সিরাজগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সোহেল তানজিমের স্ত্রী মায়েশা ইসলাম (২০), বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানার সুমন মিয়ার স্ত্রী সানজিদা খাতুন (১৮), সাতক্ষীরার তালা থানার শফিকুল ইসলামের স্ত্রী আমিনা বেগম (৪০) এবং তার মেয়ে হাবিবা (২০)। এ ছাড়াও অভিযানে তিন শিশুকেও হেফাজতে নেয় সিটিটিসি।
ওমর ফারুক নাঈম/আরএআর