নোয়াখালীতে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ২১

নোয়াখালীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মো. রিয়াদ (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২১ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ৯ জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ১২ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৮৬ জন।
ডেঙ্গুতে মৃত্যু হওয়া রিয়াদ লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার মো. ইউছুফের ছেলে। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের শুরুতে জেলা ডেঙ্গু সংক্রমণ বেশি ছিল। গত সপ্তাহের শেষের দিকে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমতে শুরু করে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলা থেকে রিয়াদকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পরিবারের লোকজন তার ডেঙ্গু পজিটিভ রিপোর্ট নিয়ে আসেন। এসময় রোগীকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিলেও পারিবারিক সমস্যা থাকায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে মারা যান রিয়াদ। পরে রাতে পরিবারের লোকজন তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান।
শনিবার (১৯ আগস্ট) রাতে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হেলাল উদ্দিন ও সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার।
ডা. হেলাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুক্রবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ডেঙ্গু আক্রান্ত রিয়াদ। এখন পর্যন্ত আমাদের এখানে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ে আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। এক্ষেত্রে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। আমরা সচেতন না হলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২১ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ৯ জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ১২ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৮৬ জন। মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু সচেতনতায় মাইকিং, স্কুল-কলেজ, হাটবাজারে লিফলেট বিতরণসহ প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
হাসিব আল আমিন/এফকে