নাটোরে পৃথক মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন

নাটোরের বাগাতিপাড়ার পৃথক হত্যা ও ধর্ষণ মামলায় দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলাম (৫০) ও একই উপজেলার খাটখৈইর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস (৩৮)। একই সঙ্গে সাইফুলকে ৩০ হাজার টাকা ও কুদ্দুসকে ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম পৃথক পৃথকভাবে এ আদেশ দেন।
নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান উভয় ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০০৬ সালের ২০ জুন দুপুরে বাগাতিপাড়া উপজেলার খাটখৈর গ্রামের আট বছরের এক শিশু কন্যাকে বাদাম খাওয়ানোর কথা বলে আঁখখেতে নিয়ে ধর্ষণ করে আব্দুল কুদ্দুস। ধর্ষণের ঘটনাটি যাতে প্রকাশ না পায় সেজন্য ওই শিশুটিকে গলা টিপে হত্যা করে আব্দুল কুদ্দুস। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে বাগাতিপাড়া থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দেন। ওই মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালতের বিচারক আজ অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুসকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।
অন্যদিকে একই উপজেলার জামনগর গ্রামের বিধবা এক নারীকে গার্মেন্টসে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের মামলায় সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ১৪ অক্টোবর স্বামী পরিত্যক্তা ভিকটিমকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ঢাকায় নিয়ে যায় সাইফুল ইসলাম। সেখানে এক হোটেলে রাত্রী যাপন কালে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। পরে চাকরি খোঁজার নাম বলে সেখান থেকে পালিয়ে গেলে ভিকটিম বাড়ি এসে ২০ অক্টোবর নিজে বাদী হয়ে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাগাতিপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ২০ বছর পর দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আজ আদালত সাইফুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
আদালত দুটি মামলায় জরিমানার টাকা ভিকটিম ও তাদের পরিবারকে দেওয়া নির্দেশ দেন। এসময় দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন, আর কুদ্দুস ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
গোলাম রাব্বানী/এসএম