করোনায় বসে নেই ইউএনও রুহুল আমিন

করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগে বসে নেই চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন। দিনরাত কাজ করছেন মানুষের জন্য। নিজের নিরাপত্তার কথা না ভেবে জনগণের সেবায় ব্যস্ত তিনি।
ওমর ফারুক হিমেল নামে এক প্রবাসী সাংবাদিক বলেন, গত বছরের লকডাউনেও মানবিক এই ইউএনও ছিলেন অসহায় মানুষের পাশে। আমি কোরিয়া থাকাকালীন ম্যাসেঞ্জারে উনার সঙ্গে কথা বলতাম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখে পড়ত নিরন্তর ছুটে চলা এই কর্মবীরের গল্প। চট্টগ্রামের গণমাধ্যমকর্মীদের দায়িত্বপাগল এই ইউএনওর প্রাণখোলা প্রশংসা করতে দেখিছি। এবার জার্মানি থেকে দেশে আসলাম কিছুদিন হলো। সোমবার থেকে দেশে লকডাউন শুরু হয়েছে। তাই নানান জনের সঙ্গে কথা বলছি। জানার চেষ্টা করছি, দেখার চেষ্টা করছি লকডাউনে প্রান্তিক মানুষ কী করছে। আমার বাসায় অক্সিজেন থাকায় হাটহাজারীর খবরটা বেশি রাখছি। লোকে বলছে প্রাণান্তকর ছুটে চলা এক পরিশুদ্ধ ইউইনওর কথা।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর থেকে হাটহাজারী উপজেলাবাসীর পাশে থেকে লড়াই করে যাচ্ছেন এই করোনাযোদ্ধা। কর্মহীন মানুষদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, বিক্ষোভ থামাতে ছুটছেন হাটহাজারীর সর্বত্র। যেখানেই মানুষের সমস্যার কথা শুনেছেন সেখানেই তিনি ছুটে যাচ্ছেন। সমস্যা সমাধানে নিচ্ছেন নানা ধরনের পদক্ষেপ। তার এই কর্মকাণ্ডে খুশি উপজেলাবাসী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই তার কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করছেন। এ রকম কর্মবীর প্রশাসনিক কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে সরকারের সুফল বিলিয়ে দিচ্ছেন। আজ হাটহাজারীতে ইউএনওর সারাদিন কেটেছে বিক্ষোভ থামাতে।

ইউএনও রুহুল আমিনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাহেদ নামে একজন লিখেছেন, বিক্ষোভ থামাতে থামাতে ক্লান্ত ইউএনও। গত লকডাউনেও করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে তিনি যেভাবে কাজ করছেন তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তার মানবিক গুণাবলী ও কার্যক্রম সাধারণ জনগণের কাছে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে।
ভেজাল প্রতিরোধ, বাজার মনিটরিং, হাটবাজারে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে স্কুল মাঠে বাজার বসানো, হালদা রক্ষায় অবৈধ কারেন্ট জাল উদ্ধার, লকডাউন মেনে চলতে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি অসহায় মানুষের পাশে রয়েছেন মানবিক উপজেলা নির্বাাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন।
আরএআর