সহকারী জজ নিয়োগে দ্বিতীয় কুমিল্লার নাঈম
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের (বিজেএসসি) চূড়ান্ত ফলাফলে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন কুমিল্লার রাগিব মোস্তফা নাঈম। তিনি দাউদকান্দি উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের বনুয়া কান্দি গ্রামের ছেলে। তার বাবা জাকারিয়া মানিক কুমিল্লার একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের (বিজেএসসি) অধীনে সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। প্রকাশিত ফলাফলে মনোনীত ১০৪ জন প্রার্থীর মধ্যে নাঈম ২য় স্থান অর্জন করেন। তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে 'এলএলএম' এর ফাইনাল সেমিস্টারে অধ্যয়নরত আছেন।
শিক্ষাজীবনে রাগিব মোস্তফা নাঈম চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ‘দি কার্টার একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ থেকে ইংলিশ ভার্সনে এসএসসি এবং ঢাকার বিএফ শাহীন কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উর্ত্তীণ হন। পরবর্তীতে ঢাকার ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। সেখান থেকে আইন বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে সিজিপিএ-৩.৭৬ পেয়ে এলএলবি সম্পন্ন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বর্তমানে এলএলএমের ফাইনাল সেমিস্টারে অধ্যয়ন করছেন। এরই মধ্যে সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন।
সফলতার বিষয়ে রাগিব মোস্তফা নাঈম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আসলে একটা পজিটিভ মাইন্ড সেট ছিল যে আমার দ্বারা ভালো কিছু হবে। সেই বিশ্বাস থেকে চেষ্টা করেছি। অবশেষে সফলতা এলো। আমি আমার পরিবারের কাছে সর্বদাই কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে বাবা আমাকে মেন্টাল সাপোর্ট দিয়েছেন, আর্থিক সাপোর্ট দিয়েছেন। মা সবসময়ই অনুপ্রেরণা দিতেন। খুব ভালো লাগছে যে বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করতে পেরেছি।
রাগিব মোস্তফা নাঈমের বাবা সাংবাদিক জাকারিয়া মানিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ছেলে নাঈমের এই সফলতায় আমি ভীষণ উৎফুল্ল। নিজের এবং পরিবারের মান উঁচুতে তুলেছে। একজন পুরুষের জীবন তখনই স্বার্থক হয় যখন তার সন্তানের স্বপ্ন পূরণ হয়। আমার ৪ ছেলের মধ্যে নাঈম দ্বিতীয়। বড় ছেলে মোহাম্মদ সাকিল আহমদ সিঙ্গাপুরে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে সেখানেই কর্মরত আছে। সেজো ছেলে শিমুল রায়হান কুমিল্লার কোটবাড়ি সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলবি এবং সবার ছোটজন আদনান সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ বিজ্ঞানে (স্নাতক) অধ্যয়ন করছে। বড় দু'জন সফলতা পেয়েছে। ছোট দুজনও বড়দের মত সফলতা অর্জন করবে এটা আশা করি।
আরিফ আজগর/আরকে