শত্রুতার জেরে বিষ দিয়ে পুকুরের মাছ নিধন

শরীয়তপুরে এক চাষির মৎস্য খামারে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। পুকুরে বিষ দিয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করা হয়েছে বলে দাবি করে চার জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষি জব্বার দেওয়ান।
বুধবার (৪ অক্টোবর) ভোর রাতে শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সারেঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত জব্বার দেওয়ান নড়িয়া উপজেলার হাসেরকান্দি গ্রামের আক্কেল দেওয়ানের ছেলে। তিনি সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সারেঙ্গা গ্রামে পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পুকুর লিজ ও বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে জব্বার দেওয়ান ও সাইদ মাদবরের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়। বিরোধকে কেন্দ্র করে বুধবার ভোর রাতে জব্বার দেওয়ানের পুকুরে বিষ দেওয়ার অভিযোগ উঠে সাইদ মাদবর ও তার তিন ছেলে ফরহাদ মাদবর (২৮), বিল্লাল মাদবর (৩০) ও আক্তার মাদবরের (২৫) বিরুদ্ধে। বিষের প্রভাবে পুকুরের রুই, কাতল, সিলভারকার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠে।

ভুক্তভোগী মাছ চাষি জব্বার দেওয়ান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঋণ করে গণি খানের কাছ থেকে ২টি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করি। এরমধ্যে ছোট পুকুরটি সাইদ মাদবর আমার কাছে থেকে কিনতে চাইলে আমি তাদের কাছে বিক্রি করি। পরে বড় পুকুরটিও তারা কিনতে চাইলে বিক্রি না করায় তারা আমার এত বড় ক্ষতি করল। আমি এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার চাই। পাশাপাশি আমি এর ক্ষতিপূরণ চাই।
পুকুরটির মালিক গণি খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, জব্বার আমার থেকে ২টি পুকুর আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছে। তার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছগুলো মেরে ফেলা হয়েছে। প্রশাসনকে অনুরোধ করব, সঠিক তদন্ত করে উপযুক্ত বিচার করতে।
স্থানীয় মোসলেম মুন্সী নামে একজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জব্বার দেওয়ান মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার পুকুরে বিষ দিয়ে মাছগুলো মেরে ফেলা হয়েছে। পুকুরের ছোট বড় সব মাছ মরে গেছে। জব্বার দেওয়ান এখন নিঃস্ব হয়ে গেছেন। প্রশাসনের উচিত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া।
সাইদ মাদবর ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। পুকুরে বিষ দেওয়ার ঘটনায় আমি জড়িত নই।
পালং মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই ঘটনায় মাছ চাষি জব্বার দেওয়ান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সাইফুল ইসলাম সাইফ রুদাদ/এএএ